ওয়েব ডেস্ক : পরিকাঠামো উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দের বাইরে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘমেয়াদী ঋণপত্রের মাধ্যমে এই টাকা বাজার থেকে তোলা হবে। সুদ-আসল মেটাতে কোষাগারের ওপর বড় চাপ পড়বে না বলেই দাবি, নবান্নের ওপরমহলের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরিকাঠামো উন্নয়নে এই প্রকল্পগুলির ঘোষণা করেছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবান্ন সূত্রে খবর, বাজেট বরাদ্দের বাইরে অতিরিক্ত ১২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা খরচে তৈরি হবে রাস্তা, ব্রিজ, ফ্লাইওভার, জলপ্রকল্প, ওয়্যারহাউস। শহরের পরিবহণের চালচিত্র আমূল বদলে যাওয়ার ছবি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়। শিয়ালদা ফ্লাইওভার থেকে শিয়ালদা স্টেশন পর্যন্ত র‍্যাম্প। কলেজ মোড়, সেক্টর ফাইভ ছুঁয়ে রাজারহাট পর্যন্ত নতুন ফ্লাইওভার। মা ফ্লাইওভার থেকে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ হয়ে গুরুসদয় দত্ত রোড পর্যন্ত ফ্লাইওভার। মানিকতলা ক্রশিং থেকে এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার। গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে এমজি রোড উড়ালপুল। তারাতলা থেকে টালিগঞ্জ, আনোয়ার শাহ রোড হয়ে যাদবপুর ফাঁড়ি পর্যন্ত নতুন ফ্লাইওভার। এ ছাড়াও গড়িয়াহাট রোড সাউথে আরও ১টি উড়ালপুলের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- চতুর্থীতে বাড়তি ট্রেন চালাবে কলকাতা মেট্রো


কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বারবার কোষাগারের বেহাল দশার কথা বলছেন, সেখানে এত টাকা আসবে কোথা থেকে? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। যদিও নবান্ন সূত্রে দাবি, টাকা জোগাড়ের পরিকল্পনাও তৈরি। পরিকাঠামো উন্নয়নে ১২ হাজার ১৮০ কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের নিজস্ব তহবিল এবং কেন্দ্রের কাছ থেকে মিলবে। বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা বন্ডের মাধ্যমে বাজার থেকে তোলা হবে।


বাজারে দীর্ঘমেয়াদী বন্ড ছেড়ে তহবিল জোগাড়ের জন্য তৈরি করা হবে স্পেশাল পারপাস ভেহিকল। ৭% হারে সুদ মেটাতে সরকারের বছরে খরচ হবে ৭০০ কোটি টাকা। দীর্ঘমেয়াদী বন্ড ইস্যু করায় দেনার দায়ে জর্জরিত সরকারি কোষাগারের ওপর সেভাবে চাপ পড়বে না বলেই মনে করছে নবান্ন।