নিজস্ব প্রতিবেদন: বাঁধ নির্মাণে টাকা নষ্ট না করে গাছ লাগিয়ে প্রতিরোধ। দিঘার সৈকতে রাস্তা নির্মাণে গলদ। বুধবার নবান্নে সেচ দফতরের সঙ্গে বৈঠকে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুঝিয়ে দিলেন, তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে তাঁর লক্ষ্য দুর্নীতমুক্ত সরকার। তা সে ত্রাণ বণ্টনে সবটাই প্রশাসনের হাতে দেওয়া দেওয়া হোক বা বাঁধ-রাস্তা নির্মাণে গাফিলতি। এ দিন দিঘার সৌন্দর্যায়ন নিয়ে নিজেই এঁকে বোঝালেন ঠিক কী করতে হবে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Yaas) দাপটে বিপর্যস্ত দিঘা। সমুদ্রতট পুনরুদ্ধারে দ্রুত তৎপর হওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। এ দিন তিনি বলেন,''দিঘায় একটা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। সৌন্দর্যায়ন নষ্ট হয়েছে। সাড়ে তিন কিলোমিটারের দুটি রাস্তার মাঝে একটা সেচ দফতরের ব্রিজ রয়েছে। ৪-৫ বছর ধরে পড়ে রয়েছে। প্রতিবছর টাকা চলে যাচ্ছে।'' তার পর এঁকে কাগজ-পেন নিয়ে এঁকে মমতা বোঝান, ''এখানে পাথর দিয়ে সেচ দফতর থেকে সৌন্দর্যায়ন করেছি। পুরোটা ভাঙেনি। পাথরের চেয়ার বানাও। সৈকতের রাস্তায় পাথরগুলি ঠিকমতো লাগানো হয়নি। এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। ফাউন্ডেশনটাই ভুল হয়েছে। দিঘার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্ব নিয়ে এটা ঠিক করতে হবে। মেরিন ব্রিজের মতো ৭ কিলোমিটার রাস্তা হচ্ছে দিঘার সৈকতে। একটা ব্রিজ ৩-৪ বছর ধরে ফেলে রেখেছে। প্রতিবার ৬ মাস লাগবে বলছে। কবে শেষ হবে?'' হকারদের দোকানগুলি পুনর্নির্মাণের জন্য মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, দরকার হলে হকারদের আপাতত ট্রলি দেওয়া হোক। 


মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,''প্রতিবছর বুলবুল, আয়লা আসছে, আর টাকাগুলি জলে চলে যাচ্ছে! ১০ বা ২০ বছরে ভাঙবে না এমন বাঁধ তৈরি করতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে নির্মাণকারী সংস্থাকে। একটা বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিতে পারো। যেখানে কংক্রিট কাজ করবে না, সেখানে ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে। ৫ লক্ষ ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছে বন দফতর। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সুন্দরবনে ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর প্রকল্প দেওয়া হোক।'' আমপানের সময় কাটা গাছগুলি কোথায় গেল, সে নিয়ে এ দিন মুখ্যসচিবকে ৩ দিনে মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


সদ্য সমাপ্ত বিধানসভার ভোটপ্রচারে তৃণমূলকে কাটমানি, ত্রিপল চোর, চাল চোর ইত্যাদি বিশেষণে নিশানা করেছে বিজেপি। বিপুল আসন জিতে সরকারে ফিরে মমতা (Mamata Banerjee) প্রতিটি বৈঠকেই জোর দিচ্ছেন স্বচ্ছ ও দুর্নীতমুক্ত প্রশাসনে। আর সে কারণে ছোট হোক বা বড় প্রকল্প- গলদ চোখে পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে যথাবিহিত নির্দেশ দিচ্ছেন মুখ্য়মন্ত্রী। গতিশীল হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন প্রশাসনকে। দক্ষ অধিনায়িকার মতো পিঠ চাপড়ে বলছেন, 'আমি বিশ্বাস করি, অফিসার বা কর্মীরা কেউ খারাপ নন।'' 


আরও পড়ুন- অফিসাররা কেউ খারাপ নন, বাঁধ ভাঙায় Mamata-র নিশানায় দুই প্রাক্তন সেচমন্ত্রী!