নিজস্ব প্রতিবেদন: জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিত্সকরা। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র বেরোবে বলে নবান্নে বৈঠকে জানিয়ে দিয়ে এসেছেন তাঁরা। সিনিয়র চিকিত্সকদের পরামর্শ মেনে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে ডেকে পাঠানো  হয় নীলরতন সরকার হাসপাতালে আন্দোলনরত হবু ডাক্তারদের। কিন্তু তাঁরা সরসারি 'না' বলে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এনআরএসে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার জন্য নবান্নে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র পৌঁছন এনআরএসে। কিন্তু তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আসতে হবে তাঁদের ক্যাম্পাসে। নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শনিবার বিকেল পাঁচটায় জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য অপেক্ষা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অনড় আন্দোলনরত হবু চিকিত্সকরা। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কালও যাবেন না। বরং মুখ্যমন্ত্রীকেই আসতে হবে। 



জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের সামনে না এসে এসএসকেএমে গিয়ে ধমক দিয়েছেন। তাঁদের বহিরাগতও বলেছেন। এজন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা মনে করছেন, দোষীদের না ধরে তাঁদের কার্যত কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে মুখ্যমন্ত্রী গতকালের চেয়ে সুর নরম করলেও জেদ ধরে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন দেখার, শনিবার দুপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয়? 



উল্লেখ্য, অচলাবস্থা কাটাতে সন্ধেয় সুকুমার মুখোপাধ্যায়, এম এল সাহা, অলকেন্দু ঘোষ, অভিজিত্ চৌধুরির মতো বিশিষ্ট চিকিত্সকদের নবান্নে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই মমতাকে এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন সিনিয়ররা।


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মমতা যাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। রাজ্যপাল বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সাড়া পাইনি। তিনি আসলে কথা হবে''।    


আরও পড়ুন- মৃত্যু আমার সামনে ছুটে বেড়ায়, মৃত্যুকে আমি ভয় পাই না, মৃত্যু আমাকে ভয় পায়: মমতা