জি ২৪ ঘধণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে ফের দাপিয়ে ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে ফলপ্রকাশ পর্যন্ত একের পর এক মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। তা নিয়ে সোচ্চার বিজেপি। এরকম এক আবহে পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী কী বার্তা দেন তার দিকেই তাকিয়ে কর্মী-সমর্থকরা। কারণ এবারের একুশের সভা একেবারেই অন্যরকম। কারণ সামনেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই দেশের বিরোধী শিবির তৈরি করে ফলেছে নতুন মঞ্চ, 'ইন্ডিয়া'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ঘোড়া কেনাবেচার আতঙ্ক! পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশের পরই নয়া পদক্ষেপ বিজেপির


বিরোধীদের বেঙ্গালুরু বৈঠকে কেন্দ্রীয়  বিজেপি সরকারকে হঠাতে জোরাল সওয়াল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এই সরকারকে হঠাত্ না পারলে দেশ বাঁচবে না। নীতীশ কুমার যে বিরোধী ঐক্যের চেষ্টা করেছিলেন তাঁর মধ্যমণি ছিলেন মমতা। সেইভাবেই তিনি বেঙ্গালুরুতে তিনি বিজেপি বিরোধিতার পক্ষে সওয়াল করেন। ফলে শুক্রবার ধর্মতলায় একুশ জুলাইয়ের মঞ্চে থেকে তিনি বার্তা দেন তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দল কীভাবে চলবে পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কী ভূমিকা হবে তা অনেকটাই স্পষ্ট করে দেবেন দলনেত্রী। এমনটাই মনে করছে রাজনৈচিত মহল।


এবার পঞ্চায়তে নির্বাচনের প্রচারে বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জেলায় জেলায় তাঁর সফরে বিপুল সাড়া মিলেছে। ফলে তিনিও কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য কী বলেন সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূল সূত্রে খবর ৯-১০ জন বক্তার একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে বক্তারা থাকবেন একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চে। উপজাতি, হিন্দিভাষী, সংখ্যালঘু সমাজের তরফেও প্রতিনিধিরা থাকবেন সমাবেশে। 


লোকসভা নির্বাচন ও বিরোধীদের মঞ্চ ইন্ডিয়া তৈরির আবহে এবারের একুশের সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে কংগ্রেস ও সিপিএমকে আক্রমণ করতেই পারেন তৃণমূল দলনেত্রী। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেস বিরোধিতা কিছু কমতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধী জোটের বৈঠকে ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরিও। ফলে এবার মমতা সিপিএম বিরোধিতায় কতটা ধার থাকবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। সবেমিলিয়ে একুশে জুলাইয়ের বক্তৃতায় মমতার গলায় সর্বভারতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উঠে আসতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাত্ বিজেপি বিরোধিতাই তৃণমূল নেত্রীর মূল বক্তব্য হিসেবে উঠে আসতে পারে।


একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলি থেকে আগেভাগেই কলকাতায় অনেকে ঢুকে পড়ছেন। তাদেরকে গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম, সল্টলেক সহ বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। তাদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে চিকিত্সক টিমকেও। জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের থাকার ব্যবস্থা আজ খতিয়ে দেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ গত কয়েকবারকে ছাপিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অভিষেক। 


এবার একুশের ভিড় সামাল দিতে যান চলাচলে বিশেষ নজর দিয়েছে কলকাতা পুলিস। সত্যি কথা বলতে, শুক্রবার অচল হয়ে যাবে মহানগর। তার পরেও শহরকে যথাসম্ভব সচল রাখতে বিশকিছু রাস্তায় যানা চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বহু রাস্তায় যানবাহন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে পুলিস। আর্মহাস্ট স্ট্রিট থেকে উত্তর থেকে দক্ষিণে, কলেজ স্ট্রিটে দক্ষিণ থেকে উত্তরে, ব্রেবন রোডে দ৭িণ থেকে উত্তরে রবীন্দ্র সরণিতে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যান চালাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)