নিজস্ব প্রতিবেদন: নেমসেক? হ্যাঁ, তাই-ই। তবে ঝুম্পা লাহিড়ীর উপন্যাস বা এর চলচ্চিত্রায়িত রূপটির কোনও প্রসঙ্গই এ নয়। এ হল এমন এক সমনামীর ঘটনা যেখানে নিকোলাই গোগল নয়, 'জড়িত' স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ, মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'দুয়ারে সরকার' পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান। শহর-কলকাতাতেও চলছে এই অনুষ্ঠান। ঘটনাচক্রে সেরকমই এক অনুষ্ঠানে 'দুয়ারে সরকার' পরিষেবার প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন মমতা ব্যানার্জী। 


হ্যাঁ। ঠিকই পড়েছেন--মমতা ব্যানার্জী-ই! তাঁর হাতেই ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের 'দুয়ারে সরকার' অনুষ্ঠানে 'স্বাস্থ্যসাথী স্মার্টকার্ড' তুলে দিলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। 


ঠিকই পড়লেন, তবে হয়তো ভুল বুঝলেন। কেননা, ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের 'মমতা ব্যানার্জী' রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জী নন! ৬৮ বছরের এই মমতা ব্যানার্জি (বয়সটাও মুখ্যমন্ত্রীর বয়সের কাছাকাছিই) হালতু পূর্বাচলের ৩ নম্বর বস্তির বাসিন্দা। তাঁর স্বামী সাইকেল রিকশা চালাতেন। দু'বছর আগে মারা গিয়েছেন। এখন খুবই কষ্টেসৃষ্টে সংসার চলে মমতার।


আজ সকাল ৮টা থেকে কালিদাস মিত্র স্কুলের সামনে লাইন দিয়েছিলেন ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মমতা। তাঁর বয়সকে সম্মান দিয়ে অনেকেই একটু-একটু করে লাইন ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। পাড়ার সকলের প্রিয় 'মমতামাসি' এক সময়ে তাই পৌঁছে গেলেন সবার আগে। নামও নথিভুক্ত হল সবার আগে। আর স্বভাবতই কার্ডও পেলেন সকলের আগে!


পাড়া-প্রতিবেশীর সৌজন্যে শহরের প্রথম কার্ড যিনি পেলেন, তাঁর নামের সঙ্গে (কাকতালীয় ভাবে) হুবহু মিলে গেল প্রকল্পের রূপকার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নামও! হ্যাঁ, এখানেই নেমসেক।


আরও পড়ুন: কোভিড আবহে ফের নয়া গাইডলাইন কেন্দ্রের, আজ থেকেই কার্যকর হবে নতুন নিয়ম