কন্যাশ্রী-রূপশ্রীর প্রশংসা হাসিনার, বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি মমতার
শহরের পাঁচতারা হোটেলে বৈঠকে বসলেন হাসিনা-মমতা।
সুতপা সেন: রথ দেখাও হল। আবার কলা বেচাও। কলকাতায় এসেছিলেন ঐতিহাসিক গোলাপি টেস্টে সৌরভের আমন্ত্রণে। সন্ধেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক সেরে নিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা ভেঙে বলতে চাননি দুই নেত্রীই। তবে দ্বিপাক্ষিত সম্পর্ক আরও একবার ঝালিয়ে নিয়েছেন হাসিনা-মমতা।
দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। মমতার সঙ্গে এককালে জমিয়ে আড্ডাও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এখনও হাসিনা দি। সেই শেখ হাসিনাই এসেছেন কলকাতায়। ইডেনে ভারতের প্রথম দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচে তাঁকে আসতে অনুরোধ করেছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাঙালি ছেলের আমন্ত্রণে এসেছেন বলে এদিনও জানান হাসিনা। ইডেনে ঘণ্টা বাজিয়ে টেস্টে ম্যাচের বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মধ্যাহ্নভোজনও সারেন। সেই সময় হাসিনার আপ্যায়ন করেন মমতা।
এরপর বিকেলে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে শুরু হয় বৈঠক। সেখানে প্রাথমিক আলাপচারিতার পর মমতার কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশংসা করে বলেন,''বাংলাদেশ আগে গরিব ছিল। সেই দেশে ব্যাপক আর্থিক উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।'' কলকাতায় বঙ্গবন্ধু ভবন নির্মাণ নিয়েও কথা হয়েছে দুজনের।
কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে কী কথা হয়েছে? সেটাই জানার আগ্রহ দুই দেশের মানুষের। কিন্তু রা কাড়েননি হাসিনা ও মমতা। বৈঠকের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''এটা সৌজন্য সাক্ষাত্। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবরই ভালো। ঐতিহাসিক সম্পর্ক। ওনাকে আবার আসতে বলেছি। একদম ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের ব্যাপারে কথা হল।'' একই সুর হাসিনার গলাতেও। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা। বলেন,''এখানে আসতে ভালো লাগে। মুজিবর রহমানের সময় থেকে ভারতবাসীর অবদান চিরকাল কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি। ১ কোটি শরণার্থী আশ্রয় পেয়েছিল আমি। তো মনে করি দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক।''
আরও পড়ুন- Exclusive: বাবার ডায়াবেটিস কমেছে? জয় শাহের কাছে অমিতের খোঁজ নিলেন মমতা