নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদী সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাগাতার কর্মসূচি নিয়েছেন। এর মধ্যে রাজ্যে ২ দিনের সফরে এলেন মোদী। শনিবার বিকেলে রাজভবনে মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ করেছে বাম-কংগ্রেস। মহম্মদ সেলিম কটাক্ষ করেন, মোদী-মমতা তো আডবাণীর স্কুলে একসঙ্গে পড়তেন। ক্যা ক্যা ছিঃ ছিঃ বলেছিলেন। এখন বলবেন আসলে কাকাছিছি বলতে চেয়েছিলাম। মিনিট ১৫ বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসলে তাঁর সঙ্গে দেখা করাটা সাংবিধানিক দায়িত্ব। সেটাই পালন করেছেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের আর্থিক দাবিদাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।    
 
বিরোধীদের জবাব দিয়ে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''এটা সাংবিধানিক দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রীরা। মিনিস্টার ইন ওয়েটিং-ও থাকে। ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের মিনিস্টার ইন ওয়েটিং। তাই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান মমতা। বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গের ৩৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। প্রতিবছর ৫৪ হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হয়। বুলবুলের ৭ হাজার কোটি টাকা বাকি আছে। ওই টাকাটা আমাদের প্রাপ্য। রাজ্যের প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি।'' প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে রাজ্যকে জানাবেন।  



এর পাশাপাশি সিএএ নিয়েও কথা বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়,'' বৈঠকে বলেছি, আপনি আমার অতিথি। এটা মনে হয়েছে বলে বলছি। এনআরপি, ক্যা ও এনআরসির বিরুদ্ধে। কোনও মানুষই যেন দেশ থেকে বাদ না যায়। কোনওরকম অত্যাচার না হয়। মানুষে মানুষে বৈষম্য না হয়, এটা দেখতে হবে।'' ক্যা ও এনআরসি নিয়ে আরও একবার ভাবনাচিন্তার আবেদনও করেন মমতা। জবাবে, দিল্লি এসে কথা বলার কথা জানিয়ে দেন মোদী। 


আরও পড়ুন- 'ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী' কিশোরকে ফিরিয়েছিল বেলুড়, বিবেকানন্দের কর্মভূমিতে নমো