নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) চেয়ারপার্সন হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরই অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মমতা এদিন বলেন, দলে কেউ কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াবেন না। দলই শেষ কথা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি (Mamata Banerjee) বলেন, "কেউ নিজেদের মধ্যে দন্দ্ব করবেন না। আমাকে কথা দিতে হবে পরস্পরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব করবেন না। দল একটাই। বাংলায় আরও বাড়তে হবে। ৭-৮ জন বিজেপি MLA আসতে চায়। তাঁরা আসুক। জোর করে নেব না। আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলায় শিল্প তৈরি করা। চাকরি তৈরি করা। কারোও বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে চাই না। দলে নিয়ে গর্ববোধ করুন। আপনারা একসঙ্গে কাজ করলে আমি বাইরে কাজ করতে পারব। তৃণমূলের একটাই গ্রুপ। বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হঠাতে হলে নিজেদের ঘর সামলান। ঘরকে মজবুত করুন। আমার ৪২-এর মধ্যে ৪২-টাই চাই। ২ বছরে নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করুন।" 


প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক নির্বাচনের আগেই দলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসে। করোনা পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'সবকিছুই ২ মাসের জন্য বন্ধ রাখা উচিত', এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার, মদন মিত্র মতানৈক্যে জড়িয়ে পড়েন। বাদানুবাদ চলে। পরে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফে দু-পক্ষকেই সংযত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই আজ দলীয় শৃঙ্খলা ও অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কর্মীদের এই বার্তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।


৫ বছর পর আজ তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দলের চেয়ারপার্সন পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পুনর্নির্বাচিত হন। বুধবার দুপুরে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া। তৃণমূলের এই সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাক্ষী হওয়ার জন্য বিরোধী দলগুলিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ও অভিনব। তবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিজেপিকে।


আরও পড়ুন, সব আঞ্চলিক দলকে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা মমতার


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)