নিজস্ব প্রতিবেদন : "কোন যুক্তিতে এসসি-এসটি বিল (SC-ST Bill) আটকে দিলেন রাজ্যপাল, বোধগম্য হল না।" ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সন্ধ্যায় এসসি-এসটি বিল প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। তারপরই ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দেশের ১২টি রাজ্যে এসসি-এসটি কমিশন আছে। আজ বিধানসভায় বিল পেশের কথা ছিল। রাজ্যের এক্তিয়ার নয় বলে রাজ্যপাল আটকে দিলেন। কোন যুক্তিতে বিল আটকালেন রাজ্যপাল, বোধগম্য হল না।" একইসঙ্গে দেশের কোন কোন রাজ্যে এসসি-এসটি কমিশন আছে, সেই তালিকাও তিনি তুলে ধরেন-


১) রাজস্থান SC ST কমিশন


২) পঞ্জাব SC কমিশন


৩) কেরালা SC ST কমিশন


৪) মধ্যপ্রদেশ SC কমিশন


৫) মধ্যপ্রদেশ ST কমিশন


৬) অন্ধ্রপ্রদেশ SC ST কমিশন


৭) উত্তরাঞ্চল SC ST কমিশন


৮) কর্নাটক SC ST কমিশন


৯) ছত্তিশগড় SC কমিশন


১০) বিহার SC কমিশন


১১) মহারাষ্ট্র SC কমিশন


১২) গোয়া SC ST কমিশন


শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন। রাজ্যপালের বক্তব্যের পর কড়া প্রতিক্রিয়া জানান তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বিধানসভার অধ্যক্ষকে লেখা রাজ্যপালের চিঠি, কীভাবে আগে মিডিয়ার হাতে যায়, প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, "আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, অধ্যক্ষকে চিঠি লেখার পর সেটা অধ্যক্ষকে দেওয়ার আগে কীভাবে সংবাদমাধ্যমের হাতে চলে যায়? এটা রাজ্যপালের মতো কাজ নয়।"


আরও পড়ুন, আবেদন ত্রুটিপূর্ণ, লাভপুর খুনে হাইকোর্টে গৃহীত হল না মুকুলের আগাম জামিনের আবেদন


প্রসঙ্গত, এসসি-এসটি বিল পাস না হওয়ায় রাজ্যকেই দায়ী করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বলেন, "যারা কুমিরের কান্না কাঁদছে, তাদের বলুন সরকার গরুর স্পিডে চলছে। রাজ্যপাল রকেটের স্পিডে কাজ করছে।" কড়া হুঁশিয়ারি দেন, "এই নোংরা রাজনীতি বরদাস্ত করব না। আমার কাঁধে বন্দুক রেখে এসসি-এসটি নিয়ে রাজনীতি করবেন না।" রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় জানান, "কেন্দ্রের একটি এসসি-এসটি আইন আছে। দুটো আইন আলাদা কিছু নেই। তাও কেন রাজ্য এই আইন আনতে চাইছে? তা জানতে চেয়েছি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। সব না জেনে কীভাবে সই করব? আমি অপেক্ষা করেছিলাম। কেউ আসেনি।"


উল্লেখ্য, বিল পেশে রাজ্যপালের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিধানসভায়  বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল। এদিনই বিধানসভার চলতি অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ।