নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের মঞ্চে, লক্ষ্য একুশ। লোকসভা নির্বাচনে, খারাপ ফলের পর তৃণমূলের প্রথম বড় সমাবেশ। সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক। দলীয় কর্মীদের জন্য কোন শপথের বার্তা বেঁধে দেবেন মমতা?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের মঞ্চ বলছে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও। মেশিন নয়, ব্যালট ফেরাও। ২৬ বছর আগের সেই দিনটার সঙ্গে কী অদ্ভূত মিল! লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের জন্য সব বিরোধী দলেরই ইভিএমের দিকে আঙুল। আদালত ফিরিয়ে দেওয়ায় আন্দোলন ছাড়া পথ নেই। তৃণমূল যে সেই আন্দোলনের প্রথম সারিতে থাকবে, তা বুঝিয়ে দিতেই এবারের একুশ। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, নির্বাচন কমিশনের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, সচিত্র পরিচয়পত্র ছাড়া ভোট নয়। ২৬ বছর পর এবার, সেই কমিশনের কাছেই ফের দাবি, ইভিএম চাই না। ব্যালট ছাড়া ভোট নয়। এদিন ধর্মতলায় সভাস্থল পরিদর্শনে এসে মমতা বলেন,'এত অভিযোগ যখন উঠছে, তখন ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট ফিরিয়ে আনলেই তো হয়'।  



তবে, এবার তৃণমূলের শহিদ দিবস, তাত্‍পর্যে এখানেই শেষ নয়। সামনে যে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ! গতবার ছিল, দিল্লি দখলের ডাক। ৩৪ আসন, নেমে এসেছে বাইশে। রাজ্যে, বিরোধী পরিসরের সবটাই প্রায় দখল করে ফেলেছে বিজেপি। দখল হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের অফিস।মার খাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। নানা জায়গায় পিঠ ঠেকে যাচ্ছে দেওয়ালে। 


বিধানসভা ভোটের আর দু'বছরও বাকি নেই। ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে, হাঁটতে হবে বেশ খানিকটা। একুশের লক্ষ্যে একুশের মঞ্চে নেত্রী কী বার্তা দেন, শুনতে চান দলীয় কর্মীরা। চ্যালেঞ্জ আছে আরও। ভাঙছে দল। নেতাকর্মীদের অনেকেই ঘাস ফুল ছেড়ে পদ্মফুলে। পা বাড়িয়ে আরও অনেকে। গতবার, তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চে যাঁরা ছিলেন তাঁদের অনেককেই এবার দেখা যাবে না। 


দলকে অটুট রাখতে, দল ধরে রাখতে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে, মমতা কী ভোকাল টনিক দেন, সেদিকেও নজর রাজনৈতিক মহলের। বিজেপি-র বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর অভিযোগে সরব তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের প্রচার মোকাবিলায়, মমতা দলকে কোন রাজনৈতিক লাইনে চলার নির্দেশ দেন, সেদিকেও নজর সবার।  


আরও পড়ুন- গণ্ডগোল করতাম না, এফআইআর যখন করেছেন এবার করব, চন্দ্রিমাকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের