জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যের বকেয়া টাকা আদায় নয় নিজের পরিবারের লোককে বাঁচাতেই দিল্লিতে ৩ দিন পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, পার্থ জেলে গিয়েছে, অনুব্রত জেলে গিয়েছে। আরও অনেকে জেলে যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-করোনার সময়ে এই ওষুধের ব্যবহারে মৃত্যু হয়েছে ১৭০০০ রোগীর, বলছে গবেষণা


ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ব্রিগেডের সামাবেশে বামপন্থীদের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। ওই সভায় সেলিমের সাফ বার্তা, দেশকে বাঁচাতে গেলে বাংলাকে জাগাতে হবে। বাংলাই গোটা দেশকে পথ দেখাবে। চোরকে চোর বলতে, গুন্ডাকে গুন্ডা বলতে, সাম্প্রদায়িককে সাম্প্রদায়িক বলতে বামপন্থা কখনও ভয় পায়নি, কখনও ভয় পাবে না। এখানে যারা জড়ো হয়েছেন তারা ভয়কে জয় করে এসেছেন। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, যাকে আপনি ভয় করছেন সে আপনার থেকেও ভিতু। পথ কুকুরের মতো ভয়কে জয় করে পালাবে।  ইনসাফ যাত্রা যেদিন শুরু হয়েছিল তার আগের দিন কোচবিহারের আমাদের উপরে আক্রমণ হয়েছিল। আসলে হক চাইতে গেলে ধক লাগে। ডিওয়াইএফআই সেই ধক দেখিয়েছে। তবেই শ্রমিক, ছাত্র যুব, মহিলা কর্মচারী আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন। কেন?  কেননা রাজ্যের মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তাদের রাগ বাড়ছে। এই চুরি জোচ্চুরি দেখে মানুষ মুখ খুলছেন। রাজ্যের মানুষ তাদের শাস্তি চাইছে।


সেলিম বলেন, জি ২০ বৈঠকে মমতাকে দিল্লিতে ডেকেছিলেন মোদী। ওই সম্মলনে সংসসের বিরোধী দলের নেতাকে ডাকা হয়নি, কংগ্রেসের সভাপতিকে ডাকা হয়নি। কিন্তু খাস মেহমান হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন মোদী। যে মমতা বলেছিলেন যোজনা কমিশনের বৈঠকে যাব না, ওদের সঙ্গে খেলি না তিনি একটা ডিনারের জন্য দিল্লিতে ৩ দিন হত্তে দিয়ে পড়ে থাকলেন। কী রকম ধাপ্পাবাজ বোঝেন, এখানে মিডিয়াকে বলা হল একশো দিনের টাকা আনতে দিল্লি যাচ্ছেন। আর ওদিকে দিল্লি গিয়ে বললেন, দাদা পায়ে পড়ি রে ভাইপোটাকে বাঁচা।


রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সেলিম বলেন, এই জনসভায় এমন পদযাত্রী রয়েছেন যিনি ৩৭ বছরে ৩৮টা মামলা খেয়েছেন। কিন্তু জেনে নাও মিথ্যে মামলা দিয়ে, জেল জরিমানা করে বামপন্থাকে আটকানো যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন কেউ খুন হলে তাদের পরিবারকে একটা চাকরি দিয়ে পুষিয়ে দেব। বাংলার মানুষ বলছে আর পুষিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আর মমতা নেই। তুমি ভাইপোকে বাঁচাতে গিয়েই ফতুর হয়ে যাবে। পার্থ চ্যাটার্জি জেলে রয়েছে, অনুব্রত জেলে রয়েছে, বালু জেলে। এইসব আলু বালু জেলে যাবে। এই বাংলার টাকা কারও কারও বিদেশিনি বান্ধবীর অ্যাকাউন্টে পাচার হয়েছে। যারা স্কুলে, কলেজে চাকরি করতে পারতো সেইসব যুবকদের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।


নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সরব হন সেলিম। সিপিএম নেতা বলেন, একটা কাকুর গলার স্বরে কিছুটা ধরা পড়েছে কীভাবে দুর্নীতির টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে ঢুকেছে। ছ'মাস ধরে ইডি সিবিআই কাকুর গলার স্বর বের করতে পারছিল না। যদি একটা কাকুর গলার স্বর নিতে ৬ মাস লাগে তাহলে একটা পিসির গলার আওয়াজ বন্ধ করতে কত মানুষ লাগবে? আরও মানুষের কাছে যেতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হলে আগে বাংলার পুনর্জাগরণ দরকার। বাংলা ভবিষ্যতে দেশকে পথ দেখাবে। আমাদের সংবিধান, আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমাদের বাঁচাতে হবে। ওরা বলেছিল লাল হঠাও, দেশ বাঁচাও। লাল হঠেছে কিন্তু দেশ বাঁচেনি। দেশ বাঁচাতে হলে লালকে বাঁচাতে হবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)