`প্রধানমন্ত্রী হোক Mamata`, মন থেকে চান শহিদের স্ত্রী মাধবী দাস
হরিদেবপুরের বাড়িতে বসে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শুনলেন মাধবী দাস।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: কখনও মা, কখনও দিদি। ২৮ বছর ধরে বিপদে-আপদে ভরসা তিনি। খারাপ সময়ে পাশে থেকেছেন। মাথার উপর ছাদ হয়ে উঠেছেন। বারবার দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাস। এহেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হবেন দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী, শহিদের স্ত্রী মাধবী দাসের এটাই এখন দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রতিবছর ২১ জুলাই অন্যান্য শহিদ পরিবারের সঙ্গে মঞ্চে দেখা যেত মাধবী দাসকে। তবে গত বছর এবং এ বছর ভার্চুয়ালি একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠান হওয়ায়, সেই রীতিতে ছেদ পড়েছে। কিন্তু তাতেও বদলায়নি মাধবী দেবীর স্বভাব। বুধবার হরিদেবপুরের বাড়িতে বসে টিভি পর্দায় চোখ রাখেন তিনি। মন দিয়ে শোনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য। Zee ২৪ ঘণ্টাকে মাধবী দাস জানান, এবারও নিজের দায়িত্ব পালনে কোনও ত্রুটি রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৯ জুলাই দোলে সেনের হাত দিয়ে তাঁদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন আর্থিক সাহায্য এবং শাড়ি। সঙ্গে ছিল একটি চিঠিও। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ঘরের মেয়ে। এবার তাঁকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
আরও পড়ুন: শহরে খুন একাকী বৃদ্ধা! বাঙ্গুর অ্যাভিনিউতে উদ্ধার গলায় গামছা জড়ানো পচাগলা দেহ
আরও পড়ুন: আগামী ১৬ অগাস্ট 'খেলা হবে দিবস' ঘোষণা Mamata-র;২৪-র বার্তা,'রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে'
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। অফিস যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দিলীপ দাস। কিন্তু আর জীবিত অবস্থায় ফেরেননি তিনি। পুলিসের গুলিতে নিহত হন দিলীপ দাস। সেই দিনের কথা মনে করলে আজও শিউরে ওঠেন তাঁর স্ত্রী মাধবী দাস। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানান, সেই দিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের মাথার উপর ছাতার মতো রয়েছেন। তাঁর দুই মেয়ের জন্য পড়াশোনার ব্যবস্থা করাই হোক বা অসময়ে পাশে থাকা। বড় মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁদের বিয়েতেও সাহায্য করেছেন। তাঁর কথায় দিদির বাড়িতে দাস পরিবারের অবারিত দ্বার।