Karnataka Election 2023: বিজেপিকে হারিয়ে গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছে কর্নাটক, শুভেচ্ছা মমতার
কর্নাটকে মোদী-শাহর প্রচার মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিজেপির রথের চাকা আটকে গিয়েছে কর্নাটকের মাটিতে। কংগ্রেস এগিয়ে ১৩৫ আসনে। নির্বাচনী প্রচারে হিন্দুত্ব অস্ত্রে শান দিয়ে একের পর এক সভা করলেও মোদী ম্যাজিক যে কাজ করেনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সময় যত গড়াচ্ছে ততই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ফারাক বাড়ছে। কংগ্রেসের ঝুলিতে এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলছে মোদীর জয়রথ কার্যত থমকে গিয়েছে। কর্নাটকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে কংগ্রেস। কর্নাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সিদ্দারামাইয়া।ভোটের গণনার গতি দেখেই আনন্দে মেতেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। শনিবার সকালে দিল্লিতে দলের সদর দপ্তরে ঢোল নিয়ে নাচ করতে দেখা গেছে কংগ্রেস কর্মীদের। যে ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একেবারে উৎসবের মেজাজে রয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা।
শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছে ট্যুইটার। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন কর্নাটকের জয়ে। মমতা বলেন, পরিবর্তনের পক্ষে নির্ণায়ক জনাদেশের জন্য কর্নাটকের জনগণকে প্রণাম। একনায়কন্ত্র ও সংখ্যাগরিষ্ঠবাদী রাজনীতি পরাজিত হয়েছে! মানুষ যখন বহুত্ববাদ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে জয়ী করতে চায়, তখন আধিপত্য বিস্তারের কোনও কেন্দ্রীয় শক্তি তাদের স্বতঃস্ফূর্ততাকে দমন করতে পারে না। এটাই নীতিকথা এবং আগামীর জন্য শিক্ষা।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন ছিল বিজেপি (BJP) এবং কংগ্রেস দুই দলের কাছেই ‘অ্যাসিড-টেস্ট’। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির কাছে পরীক্ষা ছিল কর্নাটক জয়ের মাধ্যমে লোকসভা ভোটের আগে দাক্ষিণাত্যে ক্ষমতা বিস্তার করা। কংগ্রেসের কাছে লড়াইটা ছিল অস্তিত্ব রক্ষার। শেষ হাসি হাসলেন রাহুল গান্ধী। কর্নাটকে হেরে যাওয়ায় বস্তুত গোটা দক্ষিণ ভারত থেকেই বিদায় নিল নরেন্দ্র মোদী।
ম্যাজিক ফিগার পেরোতেই হাত শিবিরে উল্লাস। গোটা কর্নাটক জুড়ে আবিরের উল্লাস। এমনকি কর্নাটক জয়ের জন্য দিল্লি-সহ বাকি রাজ্যের নোতরাও বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন। এই নির্বাচনের আগে দেশ জুড়ে সাড়া ফেলে দেয় 'ভারত জোড়ো' যাত্রা। দক্ষিণ থেকে উত্তর ভারতে কয়েকমাস ধরে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পথযাত্রা করেন রাহুল গান্ধী।