নিজস্ব প্রতিবেদন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে বিজেপির 'দেশপ্রেম' নিয়ে কটাক্ষ করলেন মহম্মদ সেলিম।  দাবি করলেন, কেন 'ভারত মাতা কি জয়'ধ্বনির চেয়ে 'জয় হিন্দ' আপামর ভারতীয়দের কাছে বেশি আপন। অনেকের মতে, সুকৌশলে 'ভারত মাতা কি জয়'-এ ধর্মীয় সুড়সুড়ি রয়েছে বলে বুঝিয়ে দিলেন সিপিএম নেতা। 
  
নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের মেজর আবিদ হাসান সাফরানি 'জয় হিন্দুস্তান' স্লোগানটি বদলে করেন 'জয় হিন্দ'। স্বাধীন ভারতের প্রথম স্মারক পোস্টমার্ক সেটিই।  বিধাননগরে ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সে কথা মনে করিয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন,''দেশপ্রেমের নামে বিজেপি ধরে ধরে লোকজনকে বলছে, ভারত মাতা কি জয়। সুভাষচন্দ্র বসু আবিদ সাফরানিকে ডেকে বলেছিলেন, এমন একটা স্লোগান বলুন যাতে সবাইকে একসূত্রে গাঁথতে পারে। ভাষা, ধর্মের বিভেদ যাতে না থাকে। একটা নিরপেক্ষ স্লোগান হোক। তৈরি হল জয় হিন্দ। জয় হিন্দ মিলিয়ে দিল পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ভারতকে। জয় হিন্দ ওদের স্লোগান নয়। ভগত সিং বটুকেশ্বর দত্ত বলেছিলেন, ইনকিলাব জিন্দাবাদ।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারত মাতা কি জয় ও বন্দে মাতরম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আপত্তি তুলেছে সমাজের একাংশ। কখনও উঠেছে ধর্মীয় ভাবাবেগের আঘাতের মতো অভিযোগও। স্বাধীনতার আগেও বন্দে মাতরম নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। খোদ মহাত্মা গান্ধী হরিজন পত্রিকায় কলম ধরেছিলেন। মোদী জমানার প্রথম পর্বেই ভারত মাতা কি জয় ও বন্দে মাতরম নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিজেপি নেতারা বারবার দাবি করেছেন, ভারত মাতা কি জয় বা বন্দে মাতরমে আপত্তি কোথাও! বিরোধীরা আবার বিজেপির বিরুদ্ধে জোর করে দেশপ্রেম চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে। অনেকে উগ্র দেশপ্রেম বলেও আখ্যা দিয়েছেন। 


আরও পড়ুন- আজাদির পক্ষে, তোমরা ইংরেজ হলে আমরা সুভাষচন্দ্র বসু, বাংলায় হুঙ্কার কানহাইয়ার