নিজস্ব প্রতিবেদন : আগামিকাল বিকালে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বুধবার বিকেলেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকের  সময়কাল চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নবান্ন সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশেই দিল্লি সফর মুখ্যমন্ত্রীর। মোদীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতির ছবিটা তুলে ধরবেন তিনি। একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ কমানোয় রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ছে সেই প্রকল্পগুলি। উল্লেখ্য, আগে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ টাকার ৯০ শতাংশ দিত কেন্দ্র। বাকি ১০ শতাংশ দিতে হত রাজ্যকে। এখন সেই বরাদ্দ কমিয়ে ৪০ শতাংশ করে দিয়েছে কেন্দ্র। ফলে বাকি ৬০ শতাংশ এখন রাজ্যকে দিতে হচ্ছে। যার জেরে একদিকে যেমন রাজ্যের উপর চাপ বাড়ছে। তেমনই কেন্দ্র বরাদ্দ কমানোয় বহু প্রকল্প বন্ধ হওয়ারও মুখে।



মোদীর সঙ্গে মমতার বৈঠকে মূলত ৪টি বিষয় জায়গা পেতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। কী কী?


১) ১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়া- জানা যাচ্ছে, ১০০ দিনের কাজে বিগত কয়েক মাসে কেন্দ্রের থেকে টাকা মিলছে না। ফলে শ্রমিকদের বকেয়া মেটানো যাচ্ছে না। পাশাপাশি, ১০০ দিনের কাজে আগে নতুন কাজের সুযোগ হত। অনেকে সেই কাজের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু, এখন টাকা না মেলায় আর কেউ কাজ করতে চাইছেন না। মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি জানাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।


২) ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ- ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ নিয়েও মোদীর কাছে অসন্তোষ ব্যক্ত করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় হেডকোয়ার্টার রয়েছে এমন দুটি ব্যাঙ্ক (এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক)-এর ক্ষেত্রেও সংযুক্তিকরণ ঘটানো হয়েছে। এই ব্যাঙ্ক দুটির পরিষেবার মাধ্যমে রাজ্যের বহু মানুষ উপকৃত হন। এখন সংযুক্তিকরণের ফলে এই ব্যাঙ্ক দুটির হেডকোয়ার্টার কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে ও অনেকে কাজ হারাতে পারেন বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মোদীর সাথে বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও কথা হবে মুখ্যমন্ত্রীর।


৩) এনআরসি- তৃতীয় বিষয়টি হন এনআরসি। অসমে চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি-র দাবি তুলেছে বিজেপি। রাজ্যেও এনআরসি আনা হবে বলে ঘোষণা করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। এই এনআরসি ইস্যুতে রাজ্যের অবস্থান ও মত কী? তা মোদীকে সুস্পষ্ট করে জানাবেন মমতা।


আরও পড়ুন, নবান্নের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে ভিডিয়ো তোলার অভিযোগ! দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠালেন সিবিআই কর্তারা
 
৪) আর্থিক প্যাকেজের দাবি- চতুর্থ বিষয়টি হল রাজ্যের জন্য ফের একবার আর্থিক প্যাকেজের দাবি। আর্থিক পরিস্থিতির হাল-হকিকত প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পর রাজ্যের জন্য ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেশাল প্যাকেজের দাবি জানাতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।