দুর্যোগ চলবে আরও ২৪ ঘণ্টা, জমা জলে ভোগান্তির শিকার মানুষ, বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা
জায়গায় জায়গায় ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুতের তার। ভেঙে পড়েছে রাস্তার ধারের বাতিস্তম্ভ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃষ্টি থামলেও জল নামেনি। ফলে জমা জলে অব্যাহত ভোগান্তির ছবিটা। হলদিরাম, চিনারপার্ক এলাকায় এক হাঁটু সমান জল জমে এখনও। বাস, গাড়ি গেলই ঢেউ উঠছে রাস্তার জমা জলে। কাজে বেরিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জল জমে রয়েছে পার্ক সার্কাস এলাকায়, আলিপুর বডি লাইনেও।
এদিকে রাস্তার সেই জমা জলেই আজ সকালে সাঁতার কাটতে দেখা যায় একদল খুদেকে। বৃষ্টির জমা জলে হুল্লোড় করতে দেখা যায় কচিকাচাদের দলকে। বল নিয়ে হুল্লোড় করতে দেখা যায় তাদের। আর এতেই বাড়ছে আশঙ্কা। প্রবল বৃষ্টিতে জায়গায় জায়গায় ছিঁড়ে পড়েছে বিদ্যুতের তার। ভেঙে পড়েছে রাস্তার ধারের বাতিস্তম্ভ। ফলে যেকোনও সময় জমা জল থেকে বড়সড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। শুক্রবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় কলকাতায়। রাতভর চলে বৃষ্টি। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির বেগ আরও বাড়ে। প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে শহর। কোথাও হাঁটু তো কোথাও কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে যায়।
বেলা ১২টার পর বৃষ্টি খানিকটা কমলেও, সন্ধ্যার দিকে ফের বৃষ্টি হয় জায়গায় জায়গায়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে এমন সংস্থা জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা মাঝারি থেকে বজ্রবিদ্যুত সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে। এই মুহূর্তে ঝাড়ঘণ্ডের ধানবাদের উপর অবস্থান করছে নিম্নচাপটি। তবে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা।
আরও পড়ুন, জল জমে রাস্তায়, বাড়ির সামনের আলো জ্বালাতে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়, ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা
নিম্নচাপটি ছোটনাগপুর মালভূমির উপর সরে যাওয়ায় গতকাল থেকেই ছোটনাগপুর মালভূমির বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে দামোদরের শাখা নদীর উপর অবস্থিত বাঁধগুলো থেকে ডিভিসি জল ছাড়তে পারে। যার জেরে নিম্নবর্তী এলাকাগুলোতে প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, কলকাতায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতায় আজ থেকেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে।