নিজস্ব প্রতিবেদন: এলগিন রোডের বাড়িতে উপচে পড়েছে ফুলের তোড়া। সকাল থেকেই সমর্থকদের ভিড়। ঘনঘন ফোন, মেসেজ। না, আজ কোনও রাজনীতির কৌশল জানতে নয়, শুধুই শুভেচ্ছা বার্তা। তবে, দূরভাষের প্রায় সব বার্তাই এসেছে দিল্লি থেকে। রাজ্যের কোনও নেতারা মুকুল রায়কে তাঁর জন্মদিনে সে ভাবে শুভেচ্ছাই জানালেন না। দিনভর মুকুল অনুগামীদের মনে এই প্রশ্নটাই খচখচ করল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সকাল সকাল এলগিন রোডের বাড়িতে এসে মুকুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে যান বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। দিল্লির প্রথম সারির নেতারাও ফোন করেছেন। কিন্তু সারাদিন বঙ্গ বিজেপির কোনও নেতাই সেভাবে ঘেঁষলেন না। বাড়ি যাওয়া তো দূর, সন্ধে অবধি  রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষও ফোন করেননি বলে জানা গিয়েছে। তাহলে কি বঙ্গ রাজনীতিতে যে মুকুল রায়কে চাণক্য বলা হতো, তাঁর কি গুরুত্ব হারাচ্ছে? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে খোদ মুরলিধর সেন রোডের রাজ্য বিজেপির সদর দফতরেও।



আরও পড়ুন- মশার আকার আস্ত প্রজাপতির মতো! নতুন রোগের আতঙ্কে এলাকাবাসী


তবে, সতীর্থদের শুভেচ্ছা না পাওয়ার আক্ষেপ মিটিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়ের অনুগামীরাই। বিভিন্ন জায়গায় মুকুল রায়ের ফ্যান ক্লাবের ভক্তরা তাঁর ফোটোয় মালা দিয়ে জন্মদিন পালন করেছেন। কেউ কেউ আবার বীরভূমের কঙ্কালীতলা মন্দিরে গিয়েও পুজো দিয়েছেন। তাঁর বাড়িতে শয়ে শয়ে কেক এসেছে। উপচে পড়েছে ফুলের তোড়া। সরস্বতী পুজোর দিনে জন্মদিন হওয়ায় ফল, মিষ্টি, খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। এর মধ্যেও মুকুলের মনে কি এই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে না কেন রাজ্যের নেতারা তাঁকে শুভেচ্ছা জানাল না!