নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে 'দল ভাঙানোর খেলা'য় নেমে পড়লেন মুকুল রায়! বিজেপি সূত্রে খবর, গতকাল রাতে দলের এক সাংসদ ও জনা দশেক বিধায়ককে ফোন করেন তিনি। যাঁরা ফোন পেয়েছেন, তাঁদের কয়েকজন ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েও দিয়েছেন। দলে ভাঙন রুখতে তত্‍পরতা তুঙ্গে গেরুয়াশিবিরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। দুপুর গড়াতেই ছবিটা বদলে যায়। ছেলে শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল ভবনে যান মুকুল রায়। মমতা আগেই চলে এসেছিলেন। কিছুক্ষণ পর তৃণমূল ভবনে ঢোকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘড়িতে তখন ৪টে ৪০। সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন তৃণমূলনেত্রী। সঙ্গে  মুকুল, শুভ্রাংশু ও অভিষেক। মুকুল ও শুভ্রাংশুকে উত্তরীয় দিয়ে বরণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'মুকুল রায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল।'  


আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাবেন কে? রাজ্যের একাধিক BJP সাংসদের নাম ঘিরে জল্পনা


গেরুয়াশিবিরের অন্দরের খবর, রাতে দলে উত্তরবঙ্গের এক সাংসদ ও  জনা দশেক বিধায়ককে ফোন করেন মুকুল এবং তৃণমূল যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। কোন কোন জেলার বিধায়ক? কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও পুরুলিয়া। বাকি জেলাগুলিতে একজন করে হলেও, পুরুলিয়ায় ফোন গিয়েছে ২ জনের কাছে। শুধু তাই নয়, জলপাইগুড়ি, হুগলি ও পুরুলিয়ার বিধায়করা বিষয়টি ইতিমধ্য়েই দলের রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। তবে, বাকি এখনও সে পথে হাঁটেননি।


এদিকে মুকুল রায়ের দলবদল নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, মুকুল রায় দল ছাড়ায় বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। নাম না করে দিলীপের খোঁচা, অনেকে দলবদলকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। ধান্দাবাজি করতে এবং ক্ষমতার স্বাদ নিতে তাঁরা দলবদল করেন।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)