নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ মামলায় কি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হবে? বৃহত্তর বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানিতেও CBI-র আবেদন নিয়ে কোনও রায় দিল না হাইকোর্ট। তবে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবীর প্রশংসা করলেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। আগামিকাল অর্থাত্‍ বুধবার ফের শুনানি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নারদ মামলায় ইতিমধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে গিয়েছে চার হেভিওয়েট। এই মামলাটি এবার অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিতে চায় সিবিআই। এই মর্মে পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করেছে তারা। সোমবারের পর এদিন ফের সেই মামলাটির শুনানি হল।


আরও পড়ুন: অবসরের পর শোকজ Alapan-কে, ৩ দিনের মধ্যে জবাব তলব কেন্দ্রের


এদিন নারদ-শুনানিতে চিলির প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের প্রসঙ্গ তোলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী তুষার মেহেতা। বলেন, 'পিনোশেতের রায়ে বলা হয়েছে, কোনও রায়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় নীতি হল, ওই রায়ের পক্ষে সাধারণ মানুষের ধারণা কি?'যদিও তাঁর সাফাই, 'আমি বিচারপতিদের দিক থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছি না। আমি বলতে চাইছি, বাইরের পরিস্থিতির কারণে বিচারপতি নিরপেক্ষ নাও হতে পারেন। তাই এটা সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা উচিত।' বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা প্রশ্ন, 'আমাদের সংবিধানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ দেখানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটা কী ভাবে বিচার প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলেছে সেটা বলুন।' এরপর বিচারপতি তুষার মেহেতার সওয়াল-জবাবের মাঝেই বলে ওঠেন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে থামিয়ে দেন বিচারপতি।


আরও পড়ুন: মাসের শুরুতে ফের মহার্ঘ Petrol-Diesel, সস্তা হল রান্নার গ্যাস, কলকাতায় কত?


সিবিআইয়ের হয়ে আইনজীবী তুষার মেহেতা ফের বলতে শুরু করেন, 'ভেবে দেখুন বিশেষ আদালতে মন্ত্রীরা গিয়েছিলেন শুধুমাত্র জামিন করানোর জন্য। আমি বার বার বলছি এই ধরনের পরিকল্পিত গুন্ডামি পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে। এটা প্রথম নয়। এর আগে যখন পুলিশ কমিশনারকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করেছিল তখনও এমন ঘটেছিল। যখন ক্ষমতাসীন কেউ গ্রেফতার হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তার প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন।' এই যুক্ত শুনে তাঁর প্রশংসা করেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।  বলেন, 'মেহতা বেশ উজ্জ্বল যুক্তি দিয়েছেন আপনি। আপনার যুক্তি শুনে নিজেকে ছাত্র হিসাবে মনে হচ্ছিল।' এরপর এদিনের মতো শুনানি শেষ হয়।