অয়ন ঘোষাল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 নরেন্দ্রপুরে দম্পতি খুনে রহস্যের সমাধানে নতুন নতুন মোড় উঠে আসছে পুলিসের তদন্তে। বাগানবাড়ির ওই জমিতে একটি কারখানা তৈরির কথা চলছিল। তার জেরে কোনও বিরোধকে কেন্দ্র করে খুন? বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিস।  সম্প্রতি বাগানবাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। এতেই বেঁকে বসেন কেয়ারটেকার দম্পতি। 


নরেন্দ্রপুরে দম্পতি হত্যা তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। তদন্তে জানা যাচ্ছে, প্রথমে খুন হন প্রদীপ বিশ্বাস। প্রথমে  ঘুমের ওষুধ স্প্রে, পরে  শ্বাসরোধ করে সম্ভবত তাঁকে খুন করা হয়। সেইসময় ঘরে ছিলেন তাঁর স্ত্রী আল্পনা। তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে বেঁহুশ করা হয়। শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে  খুলে ফেলা হয় পোশাক। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। 



এর পাশাপাশি উঠছে বেশ কয়েকটি প্রশ্নও-


১. দম্পতি এলাকায় মিশুকে বলেই পরিচিত। ভাইদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা ছাড়া তেমন যোগাযোগ নেই। কেন?


২. প্রদীপ বিশ্বাস মালিকের আত্মীয়। অথচ তাঁরই বাগানবাড়িতে মাত্র ৫ হাজার টাকা মাইনের কেয়ারটেকার?


৩. ভাল খাওয়াদাওয়া করতেন। মাঝেমধ্যেই বাইরে যেতেন। এত সামান্য মাইনেতে এটা সম্ভব? অন্য কোনও রোজগার ছিল?


বুধবার  ফরেনসিক দল। বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। ঘর থেকে টিভি চুরি তদন্তকারীদের ধোঁয়াশা তৈরির জন্যই মনে করা হচ্ছে। দুজনের  মোবাইল ফোনই উধাও। ফোন নম্বরের কল ডিটেলস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে অগ্রগতি হতে পারে বলে মনে করছে পুলিস।


আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষকদের মাইনে বাড়ার পর শিক্ষামন্ত্রীর শরণে প্রাইভেট টিউটররা