পুরাতন বছর কেটে গিয়ে চলেই এল নতুন বছরটা। সারা বছরের ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। আনন্দ, দুঃখ  শপথ নেওয়া-ভাঙা সব কিছুকে কাটিয়ে আমরা খুব ভালোবেসেই স্বাগত জানাই নতুন বছরটিকে। ইংরেজী বছরের নববর্ষটা আসে বেশ জাঁক জমকে ভরে। তবে কবিতায় কবিতায় নতুন বছরের আস্বাস একটু হলেও আলাদাই। আর সেই দৃশ্যেরই সাক্ষী রইল জয় হিন্দ ভবন। অনুষ্ঠানের আয়োজক কবি সুবোধ সরকার। হঠাত্‌ই তাঁর মনে হল এত হইচই, আরম্ভর, হাই ভলিউম মিউজিকের ভিড় এড়িয়ে কবিতা শুনতে শুনতে সে কোন শিল্পীরই কন্ঠেই হোক বা স্বয়ং কোন কবি, তবে কেমন হয়? এই চিন্তাতেই ডাকেন বহুদিনের শিল্পী বন্ধু ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই ডাকের সাড়া পেয়েই ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টা থেকে ১২টা জয়হিন্দ ভবনে অনুষ্ঠিত হল কবিতায় কবিতায় বর্ষবিদায় অনুষ্ঠান। এ এক সত্যিই অনবদ্য পরিকল্পনা। কবিতা মানে না ক্যপিটালিজম। সেই কথাও বললেন কবি সুবোধ সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন হাজিরা বিতর্ক ওড়ালেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু শিল্পী এবং বাকিরাও। সত্যিই কত প্রতিভার খোঁজ ঠিক সময়ে পেয়েও উঠি না আমরা। রাত ১২টায় নতুন বছরের আহ্বানটা হল কেক কেটে। তবে সঙ্গে কোনও লাউড মিউজিক নয়। শুধু কবিতা। এক অন্যরকমেপ মুগ্ধতা। অনুষ্ঠানে দর্শকের উপস্থিতি ছিল বেশ ভালোই। অবশ্য সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন ব্রততী। সব মিলিয়ে হইচই করে কবিতায় মোড়া রাতটা কিন্তু বেশ মনে রাখার। এখন তো হারিয়েই গিয়েছে গ্রিটিংস কার্ডের রেওয়াজ। হারিয়ে গিয়েছে বাঙালি কালচারগুলোও। সারারাত হইচই এর পর নতুন বছরের ক্লান্ত কল্লোলিনী যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখন কয়েক ঘণ্টার কবিতা মোড়া রাতটার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল নতুন বছরের শুরুটা খারাপ হল না। অন্তত কিছু তো ভিন্ন হওয়াই উচিত্‌ নতুন একটা আরম্ভের জন্য।


আরও পড়ুন  নতুন বছরেও তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত জারি