Kolkata Terrorist Arrested: কমপক্ষে ১০ জনকে নিয়োগ করে ধৃতরা! সন্দেহভাজন ২ জঙ্গিকে জেরা এনআইএ-র
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের জেলায় জেলায় এই ধরনের জঙ্গি ধরা পড়ছে। কোথাও ছাত্র হিসেবে, কোথায় মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে এরা রয়েছে। সরকার সব জান, বাইচান্স ধরা পড়ছে।
পিয়ালি মিত্র: কলকাতা পুলিসের এসটিএফের হাতে ধৃত সন্দেহভাজন ২ জঙ্গিকে জেরা করবে এনআইএ। হাওড়ার ওই দুই যুবককে গত ৭ জানুয়ারি খিদিরপুর থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাদের জেরা করে জানা গিয়েছে ২ ধর্মীয় নেতাকে খুনের ছক ছিল ধৃত সাদ্দাম ও সইদের। তাদের সঙ্গে আইসিসয়ের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি এসটিএফের। তাদের জেরা করতে আজ লালবাজারে পৌঁছে গেল এনআইএ-র টিম।
আরও পড়ুন-জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত! খিদিরপুর থেকে গ্রেফতার হাওড়ার ২ যুবক
এসটিএফের জেরায় উঠে এসেছে বিভিন্ন অ্য়াপের মাধ্যমে ওই দুজনের সঙ্গে আইসিস জঙ্গিদের যোগাযোগ ছিল। এক্ষেত্রে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ হয় সাদ্দামের। পরে সাদ্দাম দলে টানে সইদকে।
ওই দুজনকে জেরা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের ল্যাপটপ, মোবাইল থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সবেমিলিয়ে ওই দুজনকে এনআইএর জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধ কার্যকলাপে বিশেষজ্ঞ সংস্থা হল এনআইএ। এখনওপর্য়ন্ত যে তথ্য় পাওয়া গিয়েছে তা হল সাদ্দাম ও সইদ কমপক্ষে ১০ জনকে নিয়োগ করেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল একটা মডিউল তৈরি করা। শুধু তাই নয়, আইসিসের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নেটওয়ার্ক তৈরির চেষ্টা করছিল। পাশাপাশি ২ ধর্মীয় নেতার উপরে হামলার ছক ছিল তাদের। সেই হামলার জন্য অস্ত্র জোগাড় করতে নেমে পড়েছিল তারা। দেশের বিভিন্ন দফতরেও তাদের অপারেশন চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।
সূত্রের খবর, এনআইএর লক্ষ্য হল ওই দুজন যে দশজনকে নিয়োগ করেছিল তারা কারা তা খুঁজে বের করা। কী কাজে তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। কোনও প্ল্যান কাজে পর্যবসিত করার জন্য় নাকি তাদের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক আরও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল তা খুঁজে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। ভারতে আইসিসের হ্যান্ডেলার কারা, আইসিসের যে সুইসাইড হামলার ইতাহাস রয়েছে সেরকম কোনও হামলার পরিকল্পনা এদের ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে তাদের হেফাজতেও নেওয়া হতে পারে।
ওই দুজনের ধরা পড়া নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের জেলায় জেলায় এই ধরনের জঙ্গি ধরা পড়ছে। কোথাও ছাত্র হিসেবে, কোথায় মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে এরা রয়েছে। সরকার সব জান, বাইচান্স ধরা পড়ছে। ভিন রাজ্য় থেকে পুলিস এসে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ রাজ্যটাকে সেফ হোম মনে করছে জঙ্গিরা। তাই এখানেই বারবার জঙ্গি ধরা পড়ছে।