তন্ময় প্রামাণিক : তুবড়িটা নতুন নয়। পুরনো তুবড়ি ছিল। আর সেকারণেই তুবড়ি ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। হরিদেবপুরে তুবড়ি ফেটে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ করলেন নিহত আদি দাসের বাবা কাজল দাস। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তুবড়ি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানা। ধৃতের নাম বরুণ রায়। জানা গিয়েছে, পেশায় ধৃত বরুণ মাছ বিক্রেতা। পাড়ায় মাছ বিক্রি করে সে। এবার কালীপুজো উপলক্ষে বাজি বিক্রি করেছিল সে। গ্রেফতার করা হয়েছে বাজি নির্মাতা বিজয় সর্দারকেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, পেশায় সিকিউরিটি গার্ড কাজল দাস তাঁর পরিবারকে নিয়ে ৪২/৮ বিদ্যাসাগর সরণিতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া ছিলেন। প্রায় ৫ বছর ধরে ওই এলাকায় রয়েছেন তিনি। স্ত্রী, ৫ বছরের ছোট্ট মেয়ে আদিকে নিয়ে সুখের সংসার। রবিবার কালীপুজো উপলক্ষে সন্ধ্যায় যখন সবাই মিলে বাড়ি ফাটাচ্ছিল, তখন সেখানে ছিল আদিও। ঠাকুমা, পিসিদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল সে। এমন সময়ই ঘটে বিপত্তি।



প্রথমবার তুবড়িতে আগুন দেওয়ার পর সেটি ফাটেনি। তখন আদি দ্বিতীয়বার আগুন দিতে যায়। আর তখনই বিকট শব্দে তুবড়িটি ফেটে যায়। তুবড়ির খোলের টুকরো তীব্র গতিতে এসে আদির কণ্ঠনালীতে গেঁথে যায়। শুরু হয় রক্তক্ষরণ।  তড়িঘড়ি শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন, মামলার নথি চুরি জন্যই খুন? বাড়ির উঠানে উদ্ধার মহিলা আইনজীবীর হাত-পা বাঁধা নিথর দেহ


এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক শিশু। প্রসাদ দত্ত রায়ের পাঁচ বছরের মেয়ে রিতিশা ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়ে ছিল। তুবড়ির খোলের টুকরো তার চোখের পাশে এসে লাগে। জখম হয় সে-ও। অভিযোগ, তুবড়িটা এবছরের নয়, পুরনো ছিল। গতবারের বানানো তুবড়ি বিক্রি করেছিল ধৃত বরুণ। আর সেকারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। তুবড়ির ভিতরের বারুদ আর্দ্র থাকায় প্রথমবার আগুন দেওয়ার পর সেটি ফাটেনি। দ্বিতীয়বার আগুন দিতে গেলে সেটি তখন ফেটে যায়।