মামলার নথি চুরি জন্যই খুন? বাড়ির উঠানে উদ্ধার মহিলা আইনজীবীর হাত-পা বাঁধা নিথর দেহ
লন্ডভন্ড ঘর। বাড়ির উঠানের মধ্যে পড়ে রয়েছেন আইনজীবী মিতালী ঘোষ। খুনের উদ্দেশ্য ঘিরে ধন্দে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মহিলা আইনজীবীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। মৃতার বাম মিতালী ঘোষ। বয়স ৫৯ বছর। এদিন সাতসকালে বাড়ির ভিতর থেকেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আইনজীবী মিতালী ঘোষের দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, আইনজীবী মিতালী ঘোষ বর্ধমান আদালতে কর্মরত ছিলেন। জামালপুরের আঝাপুর গ্রামের বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। রোজের মতো এদিন সকালেও পরিচারিকা এসে ডাকাডাকি করতে থাকেন। কিন্তু কেউ বেরিয়ে এসে দরজা খোলেন না। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ডাকাডাকি করার পরেও দরজা না খোলায় পরিচারিকার মনে খটকা লাগে।
পাশের বাড়ি থেকে একটি মই জোগাড় করে আনেন তিনি। তারপর সেই মই বেয়ে বাড়ির টিনের চালে উঠে যান পরিচারিকা। সেখান থেকে তিনি দেখেন, বাড়ির উঠানের মধ্যে পড়ে রয়েছেন আইনজীবী মিতালী ঘোষ। সাতসকালে এদৃশ্য দেখেই প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন পরিচারিকা। তাঁরা এসে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। দেখা যায়, সিঁড়ির নীচে উঠানের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মিতালী ঘোষের দেহ।
এদিকে দোতলা বাড়ির একতলাটি পুরো লন্ডভন্ড। তালা, চাবি ভেঙে জিনিসপত্র গয়নাগাটি সব লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিস এসে নিহত আইনজীবীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে কী কারণে ওই মহিলা আইনজীবীকে খুন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন, 'আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়', কাকিমার উপর চড়াও ভাসুরপো, তারপর...
শুধু কি ডাকাতির উদ্দেশেই বাড়িতে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা? ডাকাতিতে বাধা পেয়েই মিতালী দেবীকে খুন করে তারা? নাকি খুনের সঙ্গে কোনও মামলার যোগ রয়েছে? মামলার নথি চুরি-ই ছিল উদ্দেশ্য? খুন ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই খুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।