নিজস্ব প্রতিবেদন:  দমদমে বন্ধ ঘর থেকে ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য। উঠে আসছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। তদন্তে নেমে প্রতি মোড়েই বেগ পেতে হচ্ছে পুলিসকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা যাচ্ছে, বছর পঁয়তাল্লিশের সোমনাথ সরকার নামে ওই ব্যক্তি একজন চিত্র সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে বেদিয়া পাড়ার আর এন ঠাকুর রোডের বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়িওয়ালার দাবি, সোমনাথের কাছে একাধিকবার আধারকার্ড ও ভোটারকার্ডের জেরক্স চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারবারই নাকি নানা অছিলায় বিষয়টি এড়িয়ে যান সোমনাথ। প্রতিদিনই সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন, ফিরতেন রাতে। পাড়াতেই খুব একটা বেশি মেলামেশা করতেন না তিনি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেখা হলেও সৌজন্যমূলক কথাটুকুও বলতে না সোমনাথ।


আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে নয়া মোড়, এবার ‘অ্যাপল’-কে চিঠি সিবিআইয়ের


গৃহকর্তা জানিয়েছেন, প্রায় ৮ থেকে ৯ মাস আগে ৮০৫ নম্বর বাড়ির একতলায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন সোমনাথ সরকার। প্রতিদিন সকাল সাতটা নাগাদ স্নান করে বেরিয়ে যেতেন। ফিরতেন রাতে। তবে গত ৪-৫ দিন ধরে তাঁকে বেরতে দেখা যায় নি বলেই দাবি গৃহকর্তার। সন্ধে নাগাদ ঘর থেকে পচা গন্ধ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিসকে ফোন করেন।


আরও পড়ুন: দাঙ্গাবাজদের ধরে দিতে পারলেই মিলবে চাকরি-টাকা : মমতা


পুলিস আরও জানতে পারে,বছর ১২ আগে 30A বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া মণ্ডল পাড়ার কাছে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সোমনাথ বাবু। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সেই ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়ে এখানে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।


আরও পড়ুন: পুকুরে পাড়েই সন্ধ্যার পর মিলছে তার পায়ের ছাপ! এবার আতঙ্ক মধুপুরে


 



বাড়ির দরজা, জানলা সবসময়ই ভিতর থেকে বন্ধ থাকত। শেষ কিছুওদিনও তাই ছিল। সোমনাথের মৃত্যু কি অসুস্থতার কারণে, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? সোমনাথ আদৌ কি কাজ করতেন? সব মিলিয়ে দমদমের এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।