নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনওভাবেই লাগাম দেওয়া যাচ্ছে না পেঁয়াজের দামে। কলকাতার খুচরো বাজারে বুধবার পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা প্রতি কেজি।  তবে তার থেকেও বড় খবর, বাজারে জোগান নেই পেঁয়াজের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দুর্যোগে রাজ্যকে ৪১৪ কোটি টাকা সাহায্যের দাবি কেন্দ্রের, খারিজ করল তৃণমূল নেতৃত্ব  


পোস্তা-সহ শহরের বেশ কয়েকটি নামী  বাজারে বিক্রেতাদের কাছে আলু, আদা, রসুন রয়েছে কিন্তু নেই পেঁয়াজ। দামের দাদাগিরির জন্য অধিকাংশ বিক্রেতা পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ তোলেননি। কেউ কেউ ২-৩ দিন আগেকার তোলা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে।  কারও কাছে ৫ কেজি বা কারেও কাছে ৩ কেজি পেঁয়াজ পড়ে রয়েছে। সেটা শেষ হলেই পেঁয়াজ বিক্রিতে তারা আর নেই। অর্থাত্ টাস্ক ফোর্সের বেঁধে দেওয়া ৮০ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে তারা অপারগ। তাই বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।



আরও পড়ুন-উপযুক্ত তথ্য না পাওয়ায় বিলে সই করেননি ধনখড়, রাজ্যকে জানাল রাজভবন


মঙ্গলবার  রাতে শহরে যে ২১ টি পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকেছে তাতে বস্তা পিছু ৪৩০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন পাইকার বা আড়তদাররা। সেই পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে যারা পৌছে দেন, সেই খুচরো পাইকার রা কিনেছেন ৪৮০০ টাকায়। অর্থাৎ তারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনলেন ৯৬ টাকা দিয়ে। তারা একজন খুচরো বিক্রেতা ( যিনি সরাসরি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন, তার কাছে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি করলেন ১২৫ টাকায়। সেই খুচরো বিক্রেতা ক্রেতা কে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৪০ টাকায়।


নাসিকের পেঁয়াজের স্টক শেষ । দক্ষিণের পেঁয়াজ আনার সব থেকে বড় সমস্যা সেখানকার স্থানীয় চাহিদা। উপমা, উত্তাপম, কারি, সম্বর, মাছ, মাংস, ডিম, দক্ষিনের প্রতিটি রান্নায় পিয়াজের ব্যবহার এতটাই বেশি যে সেখানে একজন ক্রেতা গড়ে  ১ কিলো আলু কিনলে ৫ কিলো পেঁয়াজ কেনেন। তাই সেই চাহিদা মিটিয়ে দক্ষিনের পেঁয়াজ ভিন রাজ্যে পাঠানো মুশকিল। গুণগত মান ও নাসিকের মতো নয়। ঝাঁজ কম । তাই পরিমানে লাগে বেশি । ফলে আমদানী যোগ্য পেঁয়াজের পরিমাণ আরও কমে যায় । কলকাতা শহরে বছরের এই সময় প্রতিদিন পেঁয়াজ ঢোকার কথা ৬০-৭০ ট্রাক। অন্যান্য বছর তাই ঢোকে। এবার নাসিক সঙ্কটে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ ট্রাক। চাহিদা তুঙ্গে। জোগান কম। তাই অর্থনীতির নিয়মে দাম লাগামছাড়া ।


উল্লেখ্য, প্রায় গোটা দেশেই পেঁয়াজ নিয়ে মাথাব্যাথায় ভুগছে আমজনতা।  পশ্চিমবঙ্গে টাস্কফোর্স গঠন করেও দামের উধ্ব্রমুখি দরে রাশ টানা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমাদানি করবে সরকার। সেই পেঁয়াজ এলে কিছুটা দাম কমতে পারে পেঁয়াজের। কিন্তু কবে আসবে সেই পেঁয়াজ? সূত্রের খবর ওই দুই দেশ থেকে পেঁয়াজ আসতে অন্তত গড়িয়ে যাবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ। ফলে এখনও কমছে না পেঁয়াজ যন্ত্রণা।