ওয়েব ডেস্ক : এবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীতালিকায় শাসকদলের বেশ কয়েকজনেরই কপাল পুড়েছে! তবে, নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে বিদায়ী সরকারের সব মন্ত্রীকেই। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ জন মন্ত্রী। সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও নির্বাচনে লড়ছেন প্রাক্তন ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্রও। এবারেও কামারহাটি কেন্দ্র থেকেই লড়ছেন তিনি। তবে, ব্যালটবাক্সে প্রথম ভোটটা পড়ার আগেই সমীক্ষা বলছে, ২ জন মন্ত্রীর হার একপ্রকার নিশ্চিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন হলেন মণীশ গুপ্ত। অন্যজন সুকুমার হাঁসদা। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে যে বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল রাজ্যের মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল, তা হল যাদবপুর। প্রাক্তন বাম সরকারের প্রাক্তন আমলা মণীশ সরকারের কাছেই ১৬ হাজারের বেশি ভোটে পর্যুদস্ত হয়েছিলেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচনে লড়ে পরিবর্তনের সরকারে বিদ্যুতমন্ত্রী হন তিনি। কিন্তু এই ৫ বছরে গতিপ্রকৃতি অনেকটাই বদলেছে। পাটিগণিতের হিসেব বলছে, যাদবপুরে এবারে এগিয়ে জোটই। জোটপ্রার্থী হয়ে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে এবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন CPI(M) নেতা সুজন চক্রবর্তী। অন্যদিকে, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে যাদবপুর কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিলেন বামপ্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। আর বাম ও কংগ্রেস মিলিয়ে সেই ব্যবধান দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি।


অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ২০১১-য় জিতেছিলেন সুকুমার হাঁসদা। কিন্তু, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার শাসকদলে অনেকেই এবার তাঁকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাননি। স্থানীয় নেতৃত্বের আপত্তি উড়িয়ে সুকুমার হাঁসদাকে প্রার্থী করায় তাই অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে এবার দু’তরফেই পাল্লা ঝুঁকে ৫০-৫০।


এছাড়া সমীক্ষা বলছে, কসবায় জোটপ্রার্থী শতরূপ ঘোষের সঙ্গে জোর টক্কর হবে দমকল মন্ত্রী জাভেদ খানের। পাশাপাশি, বর্ধমান দক্ষিণে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে চলেছেন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।


একনজরে কোন কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কোন মন্ত্রীরা


মমতা ব্যানার্জি- মুখ্যমন্ত্রী (ভবানীপুর)


পার্থ চ্যাটার্জি- শিক্ষামন্ত্রী (বেহালা পশ্চিম)


অমিত মিত্র- অর্থমন্ত্রী (খড়দহ)


ফিরহাদ হাকিম- পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী (কলকাতা বন্দর)


সুব্রত মুখার্জি-পঞ্চায়েত মন্ত্রী (বালিগঞ্জ)


আব্দুল করিম চৌধুরী- গ্রন্থাগার মন্ত্রী (ইসলামপুর)


সাধন পান্ডে- ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী (মানিকতলা)


উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস- অনগ্রসর মন্ত্রী (বাগদা)


সাবিত্রী মিত্র-পুনর্বাসন ও পুনর্বণ্টন মন্ত্রী (মানিকচক)


জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক- খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী (হাবড়া)


শান্তিরাম মাহাতো- স্বনির্ভর মন্ত্রী (বলরামপুর)


হায়দার আজিজ সফি- কারাগার মন্ত্রী (উলুবেড়িয়া পূর্ব)


পূর্ণেন্দু বসু- শ্রমমন্ত্রী (রাজারহাট-গোপালপুর)


ব্রাত্য বসু- পর্যটন মন্ত্রী (দমদম)


রচপাল সিং- পরিকল্পনা মন্ত্রী (তারকেশ্বর)


বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ- বনমন্ত্রী (মাথাভাঙা)


গৌতম দেব- উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী (ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি)


শঙ্কর চক্রবর্তী-পূর্তমন্ত্রী (বালুরঘাট)


সুদর্শন ঘোষদস্তিদার- পরিবেশ মন্ত্রী (মহিষাদল)


উজ্জ্বল বিশ্বাস-প্রযুক্তি শিক্ষামন্ত্রী (কৃষ্ণনগর দক্ষিণ)


শ্যামপ্রসাদ মুখার্জি- বস্ত্রমন্ত্রী (বিষ্ণুপুর)


সোমেন মহাপাত্র- জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী (পিংলা)


অরূপ রায়- কৃষি বিপণন মন্ত্রী (হাওড়া মধ্য)


অরূপ বিশ্বাস- যুবকল্যাণ মন্ত্রী (টালিগঞ্জ)


মলয় ঘটক- কৃষিমন্ত্রী (আসানসোল উত্তর)


চন্দ্রনাথ সিংহ- ফিশারি মন্ত্রী (বোলপুর)


কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী- উদ্যানপালন মন্ত্রী (ইংরেজবাজার)


রাজীব ব্যানার্জি- সেচমন্ত্রী (ডোমজুড়)


চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য- আইন ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী (দমদম উত্তর)


মন্টুরাম পাখিরা- স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী (কাকদ্বীপ)


পুণ্ডরীক্ষ সাহা- জনস্বাস্থ্য কারিগরী প্রতিমন্ত্রী (নবদ্বীপ)


গিয়াসউদ্দিন মোল্লা-সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী (মগরাহাট পশ্চিম)


শশী পাঁজা- স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী (শ্যামপুকুর)


আশিষ ব্যানার্জি- আয়ুশ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী (রামপুরহাট)


জাভেদ খান- দমকল মন্ত্রী (কসবা)


রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী (বর্ধমান দক্ষিণ)


সুকুমার হাঁসদা- পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী (ঝাড়গ্রাম)


মণীশ গুপ্ত- বিদ্যুতমন্ত্রী (যাদবপুর)


মদন মিত্র- প্রাক্তন ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী (কামারহাটি)