পিয়ালি মিত্র: 'উদ্ধার হওয়া ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। ৫ কোটি টাকার সোনার মালিকও পার্থ।' ইডির কাছে জেরায় স্বীকার অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের। জি ২৪ ঘণ্টার হাতে এসেছে ইডি-র চার্জশিটের কপি। আর সেখানেই উল্লেখ, বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউন ও টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার মালিক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় জেরায় জানিয়েছেন, 'নিরাপত্তার কথা ভেবে এতদিন তথ্য গোপন করেছিলাম। সব টাকা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের। টাকার উৎস বলতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ই।' ইডি-কে একটি লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে একথা জানিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। যার উল্লেখ রয়েছে ইডির চার্জশিটে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এটাই ইডির প্রথম চার্জশিট। জি ২৪ ঘণ্টার হাতে ইডির সেই চার্জশিট কপি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর প্রথম থেকেই উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক কে, টাকার উৎস কী, এই সকল প্রশ্নের উত্তর বার বারই এড়িয়ে গিয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। বার বারই তিনি দাবি করেছিলেন যে, তিনি টাকার ব্যাপারে কিছু জানেন না। মাঝে মাঝে কয়েকজন লোক এসে পার্সেল রেখে যেত শুধু। ওই ঘরে তাঁর ঢোকার অধিকার ছিল না। এমনকি, তিনি এও দাবি করেন যে, ফ্ল্যাটে যখন ইডি তল্লাশি করছিল, তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন। কিন্তু ইডিকে লেখা অর্পিতার চিঠিতে এবার ১৮০ ডিগ্রি ইউ-টার্ন। যার উল্লেখ রয়েছে ইডির চার্জশিটে। তাঁর জেল হেফাজতের পর, ৪ অগস্ট তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে জেরা করার জন্য যখন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে যান, তখন ইডির কাছে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। বিস্ফোরক বয়ান দেন তিনি। স্পষ্ট জানান, এতদিন নিজের ও তাঁর মায়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভয়ে সত্য গোপন করেছিলেন তিনি। যারও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তারপরই লিখিত আকারে বিবৃতিতে তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া ৪৯.৮ কোটি টাকা ও ৫ কোটি টাকার সোনার মালিক সবটাই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি-ই বলতে পারবেন টাকার উৎস। 



আরও পড়ুন, Partha Chatterjee, SSC Scam: তাঁদেরকে ভরসা করে শুধু সই করতাম! সিবিআই জেরায় বিস্ফোরক পার্থ, কাদেরকে ইঙ্গিত?


শুধু টাকা-সোনার মালিকের নাম প্রকাশ্যে আসা-ই নয়, ইডি চার্জশিটে আরও জানিয়েছে যে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ৩১টি এলআইসি পলিসির বার্ষিক প্রিমিয়াম দেড় কোটি টাকা। তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, ৩১টির মধ্যে বেশিরভাগেরই বার্ষিক প্রিমিয়াম ৫০ হাজার টাকা। আর বাকিগুলির ৪৫ হাজার টাকা। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বাজেয়াপ্ত মোবাইল সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবটরিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার থেকে এলআইসি-র প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার মেসেজ উদ্ধার হয়েছে। যার সঙ্গে মিল রয়েছে ব্যাংকের থেকে সংগৃহীত নথিরও। বলাই বাহুল্য, ইডির চার্জশিটের মাধ্যমে অর্পিতার এই চিঠি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)