নিজস্ব প্রতিবেদন: শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলে জানিয়ে দিলেন পার্থ চট্টাপাধ্যায়। একইসঙ্গে স্পষ্ট করলেন, দলত্যাগী বিধায়কদের ক্ষেত্রে যে নীতিমালা রয়েছে, শোভনের জন্য তার ব্যত্যয় হবে না।         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতবছর ২০ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চলছিল জল্পনা। ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাজ্য দফতরে তাঁদের বরণ করে নেন দিলীপ ঘোষ। এখনও শোভনবাবু তৃণমূলের বিধায়ক। তাঁর দলত্যাগ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেবে তৃণমূল? পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'অন্য বিধায়কদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম, সেটা ওনার জন্যেও প্রযোজ্য। পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলব। উনি পরিষদীয় নেত্রী।'



শোভনবাবু চলে গেলে কি দলের ক্ষতি? তৃণমূলের মহাসচিবের মন্তব্য, অনেকদিন ধরে চলে গিয়েছেন। কিছু হবে না। আমি চলে গেলেও ক্ষতি হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবেন লতাপাতা ঘিরে থাকবে, ছেড়ে চলে গেলে আর সোজা হয়ে দাঁড়াবে না।লোকসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের ভালো ফলের কথাও মনে করিয়ে দেন পার্থবাবু। বলে রাখি, ওই জেলায় তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। 


মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য দফতরে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'বাংলায় বিভিন্ন এলাকায় বিরোধীদের উপরে সংগঠিত সন্ত্রাস বাম আমলেও হয়নি। আজ বাংলার মানুষ বদলের চিন্তা করছেন। সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন লোকসভা ভোটে। মানুষ ১৮ আসন দিয়েছেন বিজেপিকে। মানুষ সত্যিকারের ভোটাধিকার সবাই পেত, তাহলে নবান্নের গদি বিলীন হয়ে যেত। ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ সমর্থন করেছেন।'     


পুরনো দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে শোভন মন্তব্য করেছিলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, '৪০ বছর ধরে রাজনীতিতে নানা জায়গায় দায়িত্ব সামলেছি। অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। পদ হারানো নদী থেকে পাড়ে উঠেছিলাম। যন্ত্রণাময় পরিস্থিতিতে গত ৮ মাস দলীয় বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মসূচিতে ছিলাম না। দিলীপ ও জয়প্রকাশ দা এসে বললেন, ক'দিন আর বাড়িতে বসে থাকবে।' 


আরও পড়ুন- গাড়ি দাঁড় করিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে টাকা তুলছে পুলিস, বদনাম হচ্ছি আমরা: মমতা