`আমরা মানুষের প্রতি নরম`, মুকুল বিতর্কে ঘি ছিটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হওয়ার পর তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁরা হলেন অভিজিৎ পুন্ডারি, সুজিত মণ্ডল, কার্তিক মণ্ডল, কালিদাস মণ্ডল এবং মুকুল রায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: একে মা মনসা। তার উপর ধুনোর গন্ধ! বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় নিয়ে তৃণমূল মহাসচিবের মন্তব্যে এমনই চর্চা উঠে এল। মুকুল-বিতর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, বিভাজনের রাজনীতি খেলছে তৃণমূল। এ বার তার পাল্টায় আরও একটু জল্পনা উস্কে দিয়ে পার্থ বললেন, "আমরা মানুষের প্রতি নরম।" মানুষটি কে? মুকুল? তা স্পষ্ট করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা মানুষের প্রতি নরম। যারা মানুষের জন্য কাজ করে, তাদের প্রতি নরম। মুকুল তো ওদের দলের আমন্ত্রিত নেতা। তিনি কি তার প্রতি নরম না গরম!" দিলীপ ঘোষকে খোঁচা দিয়ে পার্থের এই মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে মুকুলকে নিয়ে।
তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে নতুন করে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। সেখানে নাম ঢোকানো হয়েছে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। কিন্তু নাম নেই মুকুল রায়ে। তাঁকে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করেছে সিআইডি। চার্জশিটে নাম দেওয়ার মতো প্রমাণ না মেলায় মুকুল নজরে আসা বলে সিআইডির ব্যাখ্যা। মুকুলের নাম না থাকার জন্য় বিজেপি অন্দরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আমাদের দলের ভিতর বিভাজন এবং পরস্পরের মধ্য়ে সন্দেহ তৈরির চেষ্টা চলছে। আমাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, তাহলে কি দিলীপ বাবু চাইছেন মুকুলের নাম চার্জশিটে থাকুক। সারদা মামলার চার্জশিটে মুকুলের নাম নেই, উনি তো সন্দেহভাজন।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ সরকারের নাম অতিরিক্ত চার্জশিটের ঢোকানোর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা জানান,"সামনে বিধানসভা নির্বাচন। মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। মূল অভিযুক্ত ফোনে সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন । জনপ্রতিনিধির সঙ্গে যে কেউ কথা বলতে পারে। তার মানে এটা হতে পারে না তিনি খুনের সঙ্গে জড়িত। এটাই প্রমাণ করছে প্রশাসনকে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করছে শাসক দল।"
কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হওয়ার পর তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাঁরা হলেন অভিজিৎ পুন্ডারি, সুজিত মণ্ডল, কার্তিক মণ্ডল, কালিদাস মণ্ডল এবং মুকুল রায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে হাঁসখালি থানার পুলিস মুকুল রায় ছাড়া বাকি ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীকালে সিআইডি তদন্তভার হাতে নেয়।
আরও পড়ুন- করোনা নিয়ে সত্যি হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যদ্বাণী, তাজ্জব গোটা দেশ!
তদন্তভার হাতে নিয়ে ঘটনার তিন মাস পর অর্থাত্ ২০১৯ সালের ৮ মে সিআইডির তরফ থেকে একটি চার্জশিট পেশ করা হয় । সেই চার্জশিট থেকে কার্তিক মণ্ডল ও কালিদাস মণ্ডলের নাম বাদ দেওয়া হয়। নতুন করে নির্মল ঘোষ এর নাম ঢেকানো হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২ ,১২০বি/২৫/২৭ অস্ত্র আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।