নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিরার থেকে ২ সপ্তাহের জন্য একপ্রকার লকডাউনেই যাচ্ছে রাজ্য।  আগামী ৩০ মে পর্যন্ত জারি থাকবে এই ব্যবস্থা। বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি বাস, ট্রেন, ব্যক্তিগত গাড়িও।  শনিবার সেই খবর শুনেই ধর্মতলা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য শুরু হয়েছে মানুষের হুড়োহুড়ি। আর সেই সুযোগেই শুরু হয়েছে টিকিটের কালোবাজারি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Corona আবহে এবার Black Fungus-এর থাবা, রাজ্যে ৩ জনের শরীরে মিলল মারণ ছত্রাক


শনিবার ধর্মতলায় সরকারি(CSTC) ও বেসরকারি দূরপাল্লার বাস স্ট্যান্ডে মানুষের থিকথিকে ভিড়।  কলকাতা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার নন স্টপ ও দূরপাল্লার গাড়ির টিকিটের জন্য লম্বা লাইন। ধর্মতলা থেকে বর্ধমান, আরামবাগ, বাঁকুড়া, দিঘা-সহ উত্তরবঙ্গের গাড়িগুলির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা। যা করতে হবে তা আজকের মধ্যেই। তাই গাড়ি ধরার জন্য মরিয়া যাত্রীরা।


শনিবার ধর্মতলা(Dharmatala) চত্বরে দেখা মিলল বাসের টিকিটের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু যাত্রী। হয়রানির ছবি গোটা চত্বর জুড়ে। অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি বাসে দাঁড়াবার জায়গা পর্যন্ত নেই। টিকিটের পরোয়া না করেই উঠে পড়েছেন যাত্রীরা। দূরত্ববিধি মানা একেবারেই অসম্ভব।


আরও পড়ুন-'কড়া বিধিনিষেধ'-এ টিকাকরণ চালু থাকবে, যানবাহনেও ছাড় থাকবে, জানাল নবান্ন


কাকদ্বীপের এক যাত্রী জানালেন আধঘণ্টারও বেশি সময় দাঁড়িয়ে তিনি টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু যারা বর্ধমান যাওয়ার জন্য এসেছেন তারা কেউ দাড়িয়ে এক ঘণ্টা, কেউ আবার দেড়ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এক যাত্রী জানালেন তিনি বর্ধমান যাবেন, দুঘণ্টারও বেশিসময় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বকখালি যাওয়ার জন্য ২ ঘণ্টা বসে রয়েছেন অন্য একজন। 


এদিকে, টিকিটের সমস্যার সুযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে কালোবাজারি। কেউ কেউ টিকিটের দর হাঁকছে ৫০০, কেউ ১০০০ টাকা পর্যন্ত। তাও আবার জায়গা পাওয়া যাবে ছাদে। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গঙ্গাধরপুরের বাসের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকশো যাত্রী। কাকদ্বীপ যাওয়ার জন্য কেউ কেউ দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুঘণ্টারও বেশি। ধর্মতলা ছাড়া ক্য়ানিং, নৈহাটি, বোলপুরেও একই ছবি।