Nirmal Maji: নির্মল বচন নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা; ক্ষমা চাইতে হবে বিধায়ককে, দাবি মামলাকারীর
সম্প্রতি এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মা সারদার তুলনা টেনে মন্তব্য করেছেন নির্মল মাজি।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে মা সারদার তুলনা! নির্মল-বচন নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। স্রেফ আইনানুগ ব্যবস্থা নয়, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজিকে,আদালতের কাছে এই মর্মে আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে।
সম্প্রতি এক সভায় উলুবেড়িয়ার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, "মা সারদা দেহত্যাগের আগে বিবেকানন্দের সতীর্থদের কাছে বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর আগামী জন্মে আমি কালীঘাটের কালীক্ষেত্রে মনুষ্য জন্ম নেব। আমি সামাজিক কাজকর্মের পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে যাব। পরিসংখ্যান নিয়ে দেখা গেছে, সারদা মায়ের মৃত্যুর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম সেই অঙ্কটা মিলিয়ে দিচ্ছে। তিনিই মা সারদা...'
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কী উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চত্বরে যুবক? কালীঘাটকাণ্ডে SIT গঠন
নির্মল বচনে ক্ষুদ্ধ বেলুড় মঠ। নির্মল মাজির (Nirmal Maji) বক্তব্যে 'মর্যাদাহানি হয়েছে মা সারদার' (Maa Sarada)। ব্যথিত ভক্তকুল। বেলুড়ে মঠে সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরা নন্দ মহারাজ বিবৃতি দিয়েছেন, 'সাম্প্রতিক কোনও এক রাজনৈতিক নেতা প্রকাশ্যে মা সারদার মানবী জন্ম সম্পর্কে যে কথা বলেছেন, তার উল্লেখ এযাবৎকাল পর্যন্ত কোনও প্রকাশনায় নেই'। প্রশ্ন তুলেছেন, মা সারদার সংস্পর্শে আসা অনেক সন্ন্যাসীরও সান্নিধ্য়ে তাঁরা অনেকেই এসেছেন। কিন্তু তাঁদের কারও মুখেই একথা শোনা যায়নি। তাহলে 'ওই রাজনৈতিক নেতা কোথা থেকে এই তথ্য পেলেন'? এবার মামলা গড়াল হাইকোর্টে।
এদিকে নিজের মন্তব্যে এখনও অনড় নির্মল মাজি। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেছেন, 'এই শতাব্দীতে আমার কাছে মা সারদা, সিস্টার নিবেদিতা, মাদার টেরিজা, আমার চেতনা-চৈতন্য-আবেগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মা সারদা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একঝাঁক তরুণ, মহাপ্রাণ, মহাজীবন মঠের শিষ্যদের। তাঁদের দিয়ে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি মানুষের সেবায় নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। আমার ঘরের দুর্গা আমার মা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আমি দেখি মা সারদাকে, মাদার টেরিজাকে, সিস্টার নিবেদিতাকে। তিনি একঝাঁক কর্মযোগী, যুবক-ছাত্র-কিছু মধ্যবয়স্ক লোককে নিয়ে, বাংলার দরিদ্র মানুষ, যাঁদের নুন আন্তে পাত্তা ফুরোয়, গ্রামের গরীব মানুষ, সকলের কাছে সবুজের শ্যামলিমায় পূজিত হন'।