নিজস্ব প্রতিবেদন: নাম নিলেন না। কিন্তু কলকাতা সফরে এসে সিন্ডিকেট ও কাটমানি ইস্যুতে আবার তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন মোদী। পাল্টা জবাব দিল তৃণমূল শিবির। কলকাতা বন্দরের দেড়শো বছর পূর্তি সমারোহ। ভিড়ে ঠাসা নেতাজি ইন্ডোর। রবিবারের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাননি।ফাঁকা বারপোস্ট দেখে কিছুটা যেন হালকা চালে বল ঠেললেন প্রধানমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বক্তৃতার বল যত গড়িয়েছে,  বেড়েছে আক্রমণের ধার। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বাংলায় চালু করেনি রাজ্য সরকার। তা নিয়ে দিল্লি-কলকাতা সংঘাতও কম হয়নি। বন্দরের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, প্রায় ৭৫ লক্ষ গরিব মানুষ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় বিনা খরচে চিকিত্‍সা করাতে পেরেছেন।


শুধু পশ্চিমবঙ্গে ৯০ লক্ষ গরিব মহিলা প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পে গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন। এই ৯০ লক্ষ মহিলার মধ্যে ৩৫ লক্ষ দলিত ও আদিবাসী পরিবারের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় ৮ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪৩ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোক্ষম আক্রমণটি শানান মোদী।


আরও পড়ুন- নেই মমতা, এড়িয়ে যাচ্ছেন বহেনজি, আগামিকাল দিল্লিতে বৈঠকের আগে ওয়ার্ম-আপ কংগ্রেসের


প্রধানমন্ত্রীর এই অভিযোগের পাল্টা জবাব এসেছে তৃণমূল শিবির থেকে।  টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বললেন। কিন্তু, আসল সমস্যাগুলি পুরোপুরি এড়িয়ে গেলেন। যে সমস্যাগুলি বার বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলেছেন। বুলবুলের ক্ষতির জন্য কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া  প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। তা দেওয়া হয়নি। গঙ্গাসাগরে ইস্পাতের ব্রিজ তৈরির জন্য তিন বছর আগে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। আজও তা রাজ্যের কাছে পৌছয়নি। কেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে এনিয়ে একটি কথাও নেই? কেন বিজেপি শাসিত ও  অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মধ্যে ভেদাভেদ করা হচ্ছে?