নিজস্ব প্রতিবেদন : খাস কলকাতায় আবার আক্রান্ত পুলিস। চিতপুরে সমাজ বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়ে 'বাঁশপেটা'র শিকার হলেন অ্যাডিশনাল ওসি। দুষ্কৃতীদের মারে মাথা ফাটল তাঁর। একইসঙ্গে মাটিতে ফেলে মারা হল আরও ৫ পুলিসকর্মীকে। যদিও পুলিসের বিরুদ্ধেই পাল্টা নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এলাকায় সমাজবিরোধীদের একটি বড় চক্র সক্রিয় হয়েছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে দুষ্কৃতীদের ধরতে অভিযানে যান অ্যাডিশনাল ওসি সচিন মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন আরও ৫ পুলিসকর্মী। অভিযোগ, পুলিস এলাকায় ঢুকতেই তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। অফিসার সহ ৬ পুলিসকর্মীকে মাটিতে ফেলে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। সঙ্গে চলতে থাকে দেদার লাথি, ঘুষি। ধুন্ধুমার বেঁধে যায় চিত্‍পুরের জ্যোতিনগর কলোনিতে।


আরও পড়ুন, রক্ত পরীক্ষা করাতে গিয়ে ডাক্তারে হাতে প্রহৃত রোগিনী!


খবর পেয়ে ডিসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌছয় বিশাল পুলিসবাহিনী। তাঁরাই আক্রান্ত পুলিস কর্মীদের উদ্ধার করেন। মাথায় সেলাই নিয়ে তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন সচিন মণ্ডল। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


যদিও এলাকার মহিলাদের অভিযোগ, তাঁরা রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আচমকা চড়াও হয় পুলিস। এলাকার ছেলেদের খোঁজে শুরু হয় মারধর। ঘরে ঢুকে নির্বিচারে মহিলাদের লাঠিপেটা করে পুলিস। এদিকে গন্ডগোলের পর থেকেই বেপাত্তা কলোনির পুরুষরা। নদীপথে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ।


আরও পড়ুন, আর জি কর হাসপাতালে বড়সড় পাচারচক্রের হদিশ, স্তম্ভিত পুলিসও


ভাগিরথীর পাড়ে জ্যোতিনগর কলোনিতে বেশিরভাগই দরমার বেড়া দিয়ে তৈরি বাড়ি। ২০০৮ সালের অগস্টে এই জ্যোতিনগর কলোনিতেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন ৭ জন। লালবাজারের রেকর্ডে জ্যোতিনগর কলোনি বরাবরই কুখ্যাত এলাকা হিসেবেই চিহ্নিত। সমাজ বিরোধী কাজের জন্য অতীতেও বহুবার ধরপাকড় হয়েছে এই তল্লাটে।