Puja Carnival: চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে আজ রেড রোডে কার্নিভাল!
`আমরা শখে বসে নেই। মেধাতালিকায় যতজন বঞ্চিত আছেন, প্রত্যেকের নিয়োগটা দিয়ে দিন। আমরা চিরাতরে বিদায় নেব`। সরকারকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দোলনকারীরা।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ২ বছর পর ফের কার্নিভাল রেড রোডে । ধর্মতলা থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সরে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে পুলিস। আজ মেয়ো রোডে ধরনায় বসছেন না আন্দোলনকারীরা। তাঁরা অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, 'আমরা কিন্তু সারা জীবন ধরে এই নিষেধাজ্ঞা পালন করব না'।
রাজ্যে শিক্ষা নিয়োগে 'দুর্নীতি'। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে! পুজোর আনন্দে যখন মেতে ওঠেছিল আট থেকে আশি, তখনও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা। ধর্মতলার মেয়ো রোডে তাঁদের ধরনা ৫৭২ দিনে পড়ল। শুধু তাই নয়, পুজোর সময়ে আন্দোলনের অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীরা। শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, 'যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চাকরি ভিক্ষা করবে, আর পুজো আছে বলে পুলিস তাদের আন্দোলন করতে দেবে না। এটা হয় না। এটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়'।
তাহলে এখন ধর্নাস্থল থেকে সরছেন? আজ কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রেড রোডে। সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে মেয়ো রোডে ধরনা দিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার দুপুরে মেল করে একদিনের জন্য ধরনাস্থল থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার আর্জি জানায় পুলিস। চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য়, 'আমরা বসব না। কিন্তু সারা জীবন ধরে এই নিষেধাজ্ঞাও পালন করব না। আমরা শখে বসে নেই। আমাদের নোটিশটা দিয়ে দিন। মেধাতালিকায় যতজন বঞ্চিত আছেন, প্রত্যেকের নিয়োগটা দিয়ে দিন। আমরা চিরাতরে বিদায় নেব'।
কার্নিভাল উপলক্ষ্যে আজ শহরের একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মধ্যরাত থেকে সকাল ৯ পর্যন্ত বন্ধ রেড রোড। তারপর আবার দুপুর ২টো থেকে কার্নিভাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলবে না রেড রোডে। বন্ধ থাকবে খিদিরপুর রোড, লাভার্স লেন, হসপিটাল রোড, কইনসওয়ে, এসপ্ল্যানেড র্যাম্প, এমনকী মেয়ো রোডও। বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরপথে চলবে গাড়ি।
আরও পড়ুন: Dengue: উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৫ হাজার ছুঁই ছুঁই, সংক্রমণে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা
এদিকে শিলিগুড়ির ববিতা সরকারের মতোই ২০১৬ সালে এক SLST-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রিয়াঙ্কা সাউ। তাঁর দাবি, মেধাতালিকায় বেশি নম্বর থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি। ২৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রিয়াঙ্কাক নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বাড়ির কাছে তিনটি স্কুলের মধ্যে পছন্দমতো স্কুলও বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন ওই চাকরিপ্রার্থী।