অর্নবাংশু নিয়োগী: টাকা নিয়ে নিয়োগ, সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। এবার দেখা গেল ক্লাস এইট পাস করেও কেউ কেউ চাকরি পেয়েছেন। এর জন্য বিপুল টাকা লেনদের অভিযোগ উঠল। ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ডাক পড়ল তৃণমূল নেতা ও ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান দেবজ্যোতি ঘোষের। প্রসঙ্গত, পর্ষদের আপিল কমিটিতেও ছিলেন দেবজ্যোতি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর তাঁকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ, দেবজ্যোতি ঘোষ বাড়ির ঠিকানা অনুযায়ী থানাকে অবগত করতে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রান্না হয় বাংলাদেশে; খেতে বসেন ভারতের মাটিতে, এভাবেই চলছে জীবন


এক মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, দেবজ্যোতি ঘোষ একজন প্রাথমিক শিক্ষক। অথচ তিনি যখন পাসপোর্টের আবেদন করেন তখন তিনি তাঁর শিক্ষগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন ক্লাস এইট পাস। আবার তিনি ভাটপাড়া পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্য়ান। নির্বাচনে লড়ার জন্য কি তিনি অনুমতি নিয়েছিলেন? সেখান থেকে তিনি প্রতিমাসে সাম্মানিক পান। পাশাপাশি দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, টাকা নিয়ে তিনি অনেককে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। 


ওই মামলায় বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন আগামী ১৬ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে হবে দেবজ্যোতিকে। হাজিরা এড়িয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এদিকে, ওই মামলা নিয়ে দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, আমার পাসপোর্টে অষ্টম শ্রেণি বলে উল্লেখ নেই । প্রথম বার যখন আমি পাসপোর্ট করতে দিই তখন সব সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ছিলাম। কোন কারনে সেটি শেষ পর্যন্ত গ্রাহ্য না হওয়ার জন্য আমি মাধ্যমিক দিয়ে শেষপর্যন্ত পাসপোর্ট করি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গেই যুক্ত নই। আর আমার চাকরি হয়েছে ২০১০ সালে। আমি স্কুলেকে জানিয়েই ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। স্কুল থেকে যে মাইনে পাই আর পৌরসভার থেকে যেটা পাই সেটা সান্মানিক। আমার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে।


উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে নমব-দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছে পর্যদ। এসএসসি-তে ভুয়ো সুপারিশ প্রাপ্তের তালিকার বিষয়ে বলতে গিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় মন্তব্য করেছিলেন, 'ধেড়ে ইঁদুর বেরোবে'। ওইসব ভুয়ো শিক্ষকের কতজন, কেন স্কুলে কর্মরত রয়েছে, তাঁদের নামও জেলা স্কুল পরির্দশকদের জানানোর জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। গাজিয়াবাদ ও কমিশনের দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ড ডিস্কে যে ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন সিবিআইকে। তারপরই স্কুল সার্ভিস কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, 'ভয় পাবেন না। অনেক ধেড়ে ইঁদুর বেরবে।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)