India Bangladesh Border: রান্না হয় বাংলাদেশে; খেতে বসেন ভারতের মাটিতে, এভাবেই চলছে জীবন
বয়রা গ্রামে মোট ৬০ ঘরের বসবাস। তবে সমস্য রেজাউলেরই। তার বসত বাড়ির খানিকটা ও ৭ বিঘে জমি ওপারে পড়েছে। রেজাউলের এক ছেলে কাজ করেন কলকাতা পুলিসের। কিন্তু মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন যশোরে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বলা যেতে পারে দুই দেশেরই বাসিন্দা! এপার ওপার দুপারেই ট্যাক্স দেন রেজাউল মণ্ডল। রান্না ঘর বাংলাদেশে। কিন্তু খেতে বসেন বাংলাদেশে। সীমান্ত এভাবেই ভাগ করেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্তের বয়রা গ্রামের এই বাসিন্দাকে। আদতে কোন দেশের নাগরিক তা এই ৬৫ বছরের বুঝে উঠতে পারেননি রেজাউল।
আরও পড়ুন-আবাস যোজনার তালিকায় স্ত্রীর নাম; মোক্ষম জবাবে তৃণমূলের মুখ বন্ধ করলেন বিজেপি বিধায়ক
বাংলাদেশের খাতায় রেজাউলের ঠিকানা যশোরের গদাধরপুরে। রান্না ঘরের জন্য ট্যাক্স দেন ওপারে হাসিনা সরকারকে। সীমান্তরক্ষীদের কাছে তিনি এখন ৩৯/১১ পিলারের বাসিন্দা। দেশভাগের সময় সীমান্ত চলে গিয়েছে তাঁর উঠোনের উপর দিয়ে। ফলে ফালাফালা হয়ে গিয়েছে তাঁর বসতভিটে। কোনও একদিকে যে চলে যাবেন তাও ঠিক করে উঠতে পারেননি। সেই থেকে এভাবেই চলছে। কাঁটাতারে বেড়া এখানে নেই। তাতে বিপদ বেড়েছে অনেকটাই। চব্বিশ ঘণ্টা চলে বিএসএফ কিংবা বাংলাদেশের বিজিবির নজরদারি।
রেজাউলের মোট ১৬ বিঘে জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৭ বিঘে রয়েছে বাংলাদেশে। আর বাকী ৯ বিঘে এপারে। মাঝখানে সীমান্ত রেখা। ফলে সবকিছু ছেড়ছুড়ে যে এপারে চলে আসবেন তার উপায়ও ছিল না। বাধা হয়ে দাঁড়ায় জমি। চাষ করার সময় অনেক ঝক্কি। দুপারে সীমান্তরক্ষীর অনুমতি নিয়ে চাষ করতে পারেন। ওই ৭ বিঘে জমিতে যে ধান হয় তা দিয়েই কোনও ক্রমে সারা বছরের খাওয়ার চালটা হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ওপারের ধান ওপারেই বিক্রি করে আসতে হয়।
সীমান্তের বয়রা গ্রামে মোট ৬০ ঘরের বসবাস। তবে সমস্য রেজাউলেরই। তার বসত বাড়ির খানিকটা ও ৭ বিঘে জমি ওপারে পড়েছে। রেজাউলের এক ছেলে কাজ করেন কলকাতা পুলিসের। কিন্তু মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন যশোরে। বাংলাদেশের স্বরূপদাহ ইউনিয়নে ট্যাক্স জমা দেন। এভাবেই একপ্রকার দুদেশের মানুষ হয়েই জীবন কাটাচ্ছেন রেজাউল মণ্ডল।