সুস্থ মানুষকে মৃত্যুর নোটিস, `এইচআইভি পজিটিভ` রিপোর্ট ধরাল হাসপাতাল
রীতিমত চমকে ওঠার মতো ঘটনা। সুস্থ মানুষকে সরাসরি মৃত্যুর নোটিস ধরিয়ে দিল হাসপাতাল। বৃহদন্ত্রে অস্ত্রপচার করাতে গিয়ে পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা দেবজিত্ ঘোষকে শুনতে হল তিনি এইডস আক্রান্ত। আর তরপর থেকেই কার্যত অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। যদিও, পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্টে সমস্যার সমাধান হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রীতিমত চমকে ওঠার মতো ঘটনা। সুস্থ মানুষকে সরাসরি মৃত্যুর নোটিস ধরিয়ে দিল হাসপাতাল। বৃহদন্ত্রে অস্ত্রপচার করাতে গিয়ে পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা দেবজিত্ ঘোষকে শুনতে হল তিনি এইডস আক্রান্ত। আর তরপর থেকেই কার্যত অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। যদিও, পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্টে সমস্যার সমাধান হয়।
আরও পড়ুন- ফের মানচিত্র বিভ্রাট; বাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীর, আকসাই চিন ও আন্দামান
পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা দেবজিত্ ঘোষ চিকিত্সার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন এলাকার সাউথ সাব-আরবান ক্লিনিকে। বৃহদন্ত্রে অস্ত্রপচার করার আগে তাদের পক্ষ থেকে কিছু মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় তাঁর। কিন্তু, অপারেশনের ঘণ্টা খানেক আগে রোগীকে জানানো হয় তাঁর রক্তে এইচআইভি পজিটিভের নমুনা মিলেছে। এইচআইভি-ওয়ান ও এইচআইভি-টু দুটোই পজেটিভ মিলেছে তাঁর রক্তে। চিকিত্সকের মুখ থেকে এইডসের নিদান শুনে কার্যত অর্ধমৃত অবস্থা হয় দেবজিত্বাবুর। চরম অবসাদে তলিয়ে যান তিনি। তারসঙ্গে ছিল বেহালার ওই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক, নার্স ও কর্মীদের দুব্যর্বহার।
সেই অমানবিক ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে, বাধ্য হয়েই হাসপাতাল ছাড়েন দেবজিত্ ঘোষ। শুরু হয় মনের সঙ্গে নিজের যুদ্ধ। পরিবারের থেকে নিজেকে ক্রমশই বিচ্ছিন্ন করে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন 'অসুস্থ' মানুষটি। পরিবারের দাবি, তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ারও চেষ্টা করতে থাকেন। সেইসময় দেবজিত্বাবুর সহকর্মীরা পরামর্শ দেন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আরও একবার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। সেইমতো ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেন তিনি।
আর তারপরই বদলে গেল তাঁর গোটা পৃথিবীটাই। পরীক্ষায় জানা যায়, এইডস আক্রান্ত নন দেবজিত্বাবু। দুটি রিপোর্টই নেগেটিভ। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃতপ্রায় অবস্থা থেকে নতুন করে বেঁচে ওঠেন দেবজিতবাবু।
আরও পড়ুন- টার্গেট পড়ুয়ারা, কোডের মাধ্যমে অনলাইনে মাদকের রমরমা ব্যবসা কলকাতায়
এদিকে বিপাকে পড়ে রীতিমতো সাফাই দিতে শুরু করেন অভিযুক্ত নার্সিংহোমের চিকিত্সক। তিনি বলেন, সমস্যা মনে হয়েছিল বলেই আরও একবার তাঁকে পরীক্ষা করার কথা বলা হয়। যদিও, একথা বলতে গিয়ে কোনও অপরাধবোধ দেখা যায়নি চিকিত্সকের চোখে। গোটা ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবজিত্ ঘোষ।