নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা ভোট মিটতেই গেরুয়াশিবিরে ভাঙন। দক্ষিণবঙ্গে মুকুল রায়ের পর যখন তৃণমূলে যোগ দিলেন আরও ২ বিধায়ক, তখন উত্তরবঙ্গে দলের বৈঠকে গরহাজির ৫ জন। কিন্তু খোদ দিলীপ ঘোষের 'অনুমতি' ছাড়া কেন এই বৈঠক? প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি-র অন্দরে। সূত্রের খবর তেমনই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির শক্তঘাঁটি উত্তরবঙ্গ। বিধায়কের সংখ্যা ২৯। দলের জোনাল বৈঠকে ডাকা হয়েছিল তাঁদের। সেই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন ৫ জন। কারা? কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও, বালুরঘাটের অশোক লাহিড়ী, গঙ্গারামপুরের সত্যেন্দ্রনাথ রায়, হবিবপুরের জুয়েল মুর্মু ও মালদহের গোপালচন্দ্র সাহা। কেন? ব্যাখ্যা  দিয়েছেন বিজেপি বিধায়কেরা। জুয়েল মুর্মু যেমন জানিয়েছেন,  বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে কলকাতায় এসেছেন তিনি। গোপালচন্দ্র সাহা ও সত্যেন্দ্রনাথ রায় 'অসুস্থতা'র কারণে বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। তাহলে? বিধায়করা যাই বলুন না কেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে। 


আরও পড়ুন: WB Police Day: রাজ্য পুলিসকে কটাক্ষ করে টুইট রাজ্যপালের; কেউ কেউ ব্যঙ্গ করছেন, শুধরে নিন: Mamata


এদিকে এই বৈঠককে ঘিরে আবার প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির অন্দরেও। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছে, সেকথা নাকি জানতেন না দিলীপ ঘোষ! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য জানতেন। কিন্তু তাঁকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি! কীভাবে এমনটা হল? দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য সভাপতি। তখন বিরোধী দলনেতা জানান, উত্তরবঙ্গের বিধায়ক, বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বৈঠকের কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ করা হয়নি। এরপর আসরে নামেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। গেরুয়াশিবিরের অন্দরের খবর, বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাই ছিলেন উত্তরবঙ্গে এই বৈঠকে মূল উদ্যোক্তা। তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চান অমিতাভ চক্রবর্তী। নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। দলীয় নেতৃত্বের একাংশের দাবি, মালদহের গোপালচন্দ্র সাহা-সহ বেশ কয়েকজন বিধায়ক সময়মতো খবর পাননি। সেকারণে এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)