Exclusive: পরীক্ষা শুরুর আগেই ডিএলএড-র প্রশ্নপত্র ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়...
কীভাবে `ফাঁস প্রশ্নপত্র`? তদন্ত কমিটির গড়ার নির্দেশ দিল পর্ষদ। ``যাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি করছেন, তাঁরাই ফাঁস করলে কী করা যাবে`?, বললেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পরীক্ষা শুরুর আগেই ডিএলএড-র প্রশ্ন ফাঁস? সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে প্রশ্নপত্রের ফোটোকপি! পরীক্ষার্থীদের দাবি, ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে নাকি হুবহু মিলে গিয়েছে আসল প্রশ্নপত্র! কীভাবে? 'আমরা তদন্ত কমিটি গড়ছি', সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে রাজ্য সরকার। একসময়ে যিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন, সেই মানিক ভট্টাচার্য এখন ইডি-র হেফাজতে। তদন্তকারীদের দাবি, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কিংপিন মানিকই! তাঁর আমলেই নাকি ৫৮ হাজার পদে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে! শুধু তাই নয়, রাজ্যে যেসমস্ত কলেজে ডিএলএড পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেই কলেজগুলি নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: পঞ্চায়েত ভোটে কী হবে, আদালতে যাওয়ার আগে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন পার্থ
ডিএলএড কোর্সটি দু'বছরের। চারটি সেমিস্টারে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ডিএলএড কলেজগুলিতে নয়, রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলিতে এবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। আজ, সোমবার থেকে শুরু হল ডিএলএড-র দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। প্রথমদিনেই এডুকেশন স্টাজিডের প্রশ্ন ফাঁস? এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, 'পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবাই সততার সঙ্গে কাজ করে। কেউ একজন অসৎ হলে, সেটা বিশ্বাসঘাতকতা। যাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি করছেন, তাঁরাই ফাঁস করলে কী করা যাবে'? জানান, 'আমাদের কাছে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এসেছে। আমরা তদন্ত কমিটি গড়ছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
ডিএলএড পরীক্ষার 'প্রশ্ন ফাঁসে'র ঘটনাটি জানা গেল কী করে? ঘড়িতে ১০টা বেজে ৪৭ মিনিট। পরীক্ষা তখনও শুরু হয়নি। এদিন সকালে জনৈক অরিন্দম খাঁড়া ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, ডি-এলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে! এরপর সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেই প্রশ্নপত্রের ফোটোকপি পোস্ট করেন তিনি। সেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিকে বেলা ১২ টায় রাজ্যে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে শুরু হয় ডিএলএড বর্ষের এডুকেশন স্টাডিজের পরীক্ষা। দুপুর ৩টে শেষ হয় পরীক্ষা। এরপর প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, যে প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, সে প্রশ্নপত্রে তাঁরা পরীক্ষা দিলেন, সেই দুটি প্রশ্নপত্রই নাকি হুবহু একই!