পিয়ালি মিত্র: 'অপরাধী যে-ই হোক না কেন, আমাদের কাছে সে একজন অপরাধী। ধর্ষণ ও খুনের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। এটা যৌন নিগ্রহের পর খুনের ঘটনা। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনা। আমরা দুঃখিত। আমরা পরিবার ও চিকিত্‍সকদের সঙ্গে আছি। তদন্তের স্বার্থে যা যা করা প্রয়োজন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে সবটুকু করা হবে। তারপরেও যদি পরিবারের অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে তদন্তের দাবি থাকে, তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।' অতিরিক্ত পুলিস কমিশনারকে সঙ্গে নিয়ে আরজিকর কাণ্ড সাংবাদিক বৈঠকে বললেন কলকাতা পুলিসের সিপি বিনীত গোয়েল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি আরও বলেন, "কাল সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ টালা থানায় খবর আসে যে একজন মহিলা সেমিনার হলে পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে হোমিসাইড টিম যায়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলকেও ডাকা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্ত করা হয়। মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত হয়। সেখানে পরিবার ও পড়ুয়ারও উপস্থিত ছিল। তারপর ডিসি ডিডি স্পেশালের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের সিট গঠন হয়। সারা রাত ধরে তদন্তপ্রক্রিয়া চলে। সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।" 


পুলিস সূত্রে খবর, রাত আড়াইটে থেকে ৩টে নাগাদ দোতলা, তিনতলার করিডর ও চেস্ট ডিপার্টমেন্টের কাছে সিসিটিভিতে সঞ্জয়কে দেখা যায়। সেখানে আর কারও গতিবিধি মেলেনি। সেই ছবি হাসপাতালের নার্স ও অন্যান্য কর্মীদের দেখানো হয়। তাঁরা জানায়, হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে রোগী ভর্তি করতে আসে এই ব্যক্তি। এরপর তার সম্পর্কে তথ্য জোগাড় দক্ষিণ কলকাতা থেকে তাকে আটক করে হাসপাতালে আনা হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় পরশু রাতে সে কেন হাসপাতালে গিয়েছিল? ধৃত দাবি করে, রোগী ভর্তি করতে গিয়েছিল। কিন্তু কোনও রোগী ভর্তির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনের-ই যোগ পাওয়া যাচ্ছে বলেই দাবি করেছে পুলিস।


আরও পড়ুন, R G Kar Incident: ছেঁড়া ব্লুটুথ ইয়ারফোন সূত্র ধরেই চিকিত্‍সক-পড়ুয়া 'ধর্ষণ খুনে' ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার!



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)