সিবিআইয়ের কাছে ৭-১০ দিনের সময় চাইলেন রাজীব কুমার : সূত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআইয়ের কাছে সময় চাইলেন রাজীব কুমার। কলকাতা পুলিসের প্রাক্তন কমিশনার চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে ওই আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর আর্জি, তাঁকে ৭-১০ দিন সময় দেওয়া হোক সিবিআইয়ের তরফে।

রাজীব কুমারকে রবিবার সন্ধ্যায় নোটিস দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে। সোমবার সকাল ১০টায় সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তিনি সেখানে হাজির হননি।

তখন তাঁর খোঁজও শুরু করা হয় সিবিআইয়ের তরফে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যায়, রাজীব কুমার ঠিক কোথায় রয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। সেই কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল বারাসত আদালতে হাজির হয়েছে। একটি দল ভবানী ভবনের সামনে অপেক্ষা করছে। অন্য একটি দল পার্ক স্ট্রিটেও রয়েছে।

ইতিমধ্যে সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হন সিআইডির দুই আধিকারিক। তাঁরা একটি চিঠি দেন। তার পর চলে যান। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই চিঠিটি রাজীব কুমারের। সেই চিঠিতেই রাজীব সিবিআইয়ের কাছে ৭-১০ দিনের সময় চেয়েছেন।

রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সারদা মামলার তথ্যপ্রমাণ নষ্টের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করছিল সিবিআই। একাধিকবার ডাকার পরও রাজীব কুমার না আসায় তাঁর বাসভবনে ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় হাজির হয় সিবিআইয়ের একটি দল।

তখন রাজীব কুমার কলকাতার পুলিস কমিশনার। সেদিন কলকাতার রাস্তায় সিবিআই ও কলকাতা পুলিসের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিল। এর পর সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। শীর্ষ আদালত রাজীব কুমারকে জেরার অনুমতি দেয়। কিন্তু রাজীবকে রক্ষাকবচ দেয়। আদালত জানায়, সিবিআই এখনই রাজীবের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নিতে পারবে না।

শিলংয়ে সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হন রাজীব কুমার। কিন্তু সেই জেরার পর্বে রাজীব কুমার সহযোগিতা করেনি বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ তোলে সিবিআই। এর পর রাজীব কুমারের রক্ষাকবচ সরিয়ে নেয় সুপ্রিম কোর্ট।

রাজীবকে সাতদিনের সময়সীমা দেওয়া হয় আইনি সহায়তা নেওয়ার জন্য। কিন্তু রাজ্যে আইনজীবীদের ধর্মঘট চলছে, তাই আইনি সহায়তা নিতে পারেননি রাজীব কুমার।

এই পরিস্থিতিতে প্রথমে রাজীবের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুরাল জারি করে সিবিআই। তার পরই রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নোটিসেও সিবিআইয়ের সামনে হাজির হলেন না রাজীব কুমার।

ফলে এবার সিবিআই কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজীব কুমারের চিঠির কোনও জবাব এখনও তারা দেয়নি।