সুতপা সেন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপির রথের চাকা রোখার জন্য হাইকোর্টে মামলা লড়ছে রাজ্য সরকার। এদিন তারা সওয়াল করেছে, বিজেপি যে নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব পাঠিয়েছে, তাদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। সে কারণে মুখ্যসচিব ও ডিজি কীভাবে বৈঠক করতে পারেন, তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যেই অবশ্য বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করে দিল নবান্ন। 


সূত্রের খবর, নবান্নে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ডিজি। ওই বৈঠকে বিজেপির রথযাত্রা ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা করেন গোয়েন্দা প্রধান। কোন কোন এলাকায় গন্ডগোল হতে পারে, সেই এলাকাগুলি উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সব এলাকাগুলি দিয়ে রথ নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। কনফারেন্স কলে ছিলেন সংশ্লিষ্ট জের পুলিস সুপাররা। সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু ও উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা দিয়েও রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে না। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এনিয়ে আলোচনা করা হবে। তাঁদের কী করণীয়, তা বলে দেবেন পুলিস কর্তারা। 


কিন্তু প্রশ্ন হল, আদালতে যখন রাজ্য সরকার মামলা লড়ছে, তখন কেন নবান্নে রথযাত্রা নিয়ে বৈঠক হল? তাহলে কি সরকার নিশ্চিত যে রায় বিপক্ষেই যাবে? আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যেভাবে রাজ্য সরকারকে তিরস্কার করেছে, এবং সিঙ্গল বেঞ্চের রায় নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ করেছে, তাতে চূড়ান্ত রায়দানের ইঙ্গিত মিলছে। আর সে কারণে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিয়ে রাখল প্রশাসন। 


হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই বিজেপির তরফে তিনজন নেতার নাম জানানো হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিল জয়প্রকাশ মজুমদার ও মুকুল রায়ের নাম। এই দু'টি নাম নিয়েই আপত্তি তুলেছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আদালকে যায় রাজ্য। 


তাদের যুক্তি, জয়প্রকাশ ও মুকুলের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেই কারণে তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজি কীভাবে বৈঠক করবেন, সেই প্রশ্নই আদালতে তোলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।  


এর পালটা বিচারপতি সমাদ্দার রাজ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, আইজি, ডিজির বিরুদ্ধেও তো মামলা চলছে। তাহলে তাঁদের সঙ্গে কীভাবে বৈঠক সম্ভব। জানা গিয়েছে, এই প্রশ্নের কোনও উত্তর আদালতে দেয়নি রাজ্য। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগেরবার  আদালতে থাপ্পড় খেয়েছে, এবার কান মোলা খেল। কেস তো সবার নামেই রয়েছে। ডিজি, মুখ্যসচিব সবার নামে কেস রয়েছে। যে নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা আর বদলানো হবে না।” ওই তিন জনই সরকারের সঙ্গে বসবেন বলে জানানা তিনি।


আরও পড়ুন- উর্জিত প্যাটেলের ছেড়ে যাওয়া আসনে শশীকান্ত?