নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনি সুস্থ আছেন। তবু চিন (China) থেকে ফিরেছেন বলে সাত সকালে চলে এসেছিলেন বেলেঘাটা আইডি (Beleghata ID) হাসপাতালে। রক্ত পরীক্ষা করতে। কিন্তু তাঁকে বলা হয়, ভর্তি না হলে করোনার (corona virus) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। এমনটাই জানিয়েছেন গবেষক সুমন মাইতি। বেলঘাটা আইডি হাসপাতালের এই নিয়মে হতাশ চিন ফেরত বাঙালি গবেষক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিনের সান ইয়ানসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত সুমন মাইতি। গতকয়েকবছর ধরে চিনের গুয়াংডং প্রদেশেই থাকেন তিনি। এখন করোনা ভাইরাস চিনে মহামারী আকার নিয়েছে। তাই গতকাল রাতেই চিনের কুনমিং হয়ে দেশে ফিরেছেন সুমনবাবু। ফেরর পর থেকে আর বাড়ি ঢোকেননি। করোনা ভাইরাসের এপিসেন্টার চিন থেকে ফিরেছেন! তাই ঝুঁকি না নিয়ে সোজা চলে আসেন বেলেঘাটা আইডিতে।
 
মুখে মাস্ক পরে মেদিনীপুর থেকে গাড়ি চালিয়ে সোজা বেলেঘাটা আইডিতে পৌঁছন তিনি। কিন্তু হাসপাতালে এসে তাঁকে হতাশ হতে হয়। তিনি সুস্থ আছেন। কিন্তু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই এদিন পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন বাঙালি গবেষক। তাঁর দাবি, হাসপাতালের তরফে তাঁকে বলা হয় যে, ভর্তি হতে হবে। নইলে পরীক্ষা করা যাবে না। কিন্তু কেন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হল না? প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ সুমন মাইতি।


বলেন, "কোনও উপসর্গ নেই।  সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছি।  এখানে ভর্তি না হলে নমুনা পরীক্ষা করবে না, বলছেন হাসপাতালের কর্তারা। আমি স্বাস্থ্যভবনে কথা বললাম।  এটা ঠিক নয়। আমি কীভাবে ভর্তি হব? একলা এসেছি।  সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমার নমুনা তো নিতে পারেন।"


আরও পড়ুন, রিপোর্ট নেগেটিভ, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি সন্দেহভাজনদের রক্তে মেলেনি নভেল করোনা ভাইরাস


আরও পড়ুন, সম্বন্ধতেই মিতাকে মনে ধরে অমিতের, কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব ফেরাতেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন পাত্র!


এই প্রসঙ্গে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ অনিমা হালদার বলেন, "স্বাস্থ্যভবন যেভাবে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তা মেনে চলছি। এখানে ভর্তি না হলে করোনা পরীক্ষা সম্ভব নয়।"