জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দীপের বিরুদ্ধে বিস্তর আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে আগেই। সেই সব তদন্তের সূত্রেই 'সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন' বা সিবিআই কোর্টকে জানিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ অ্য়ান্ড হসপিটালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. সন্দীপ ঘোষ নাকি আরজি করের রিক্রুটমেন্ট পদ্ধতিটাকেও নিয়ন্ত্রণ করতেন! যে কাজ আসলে করার কথা সরকারের, মানে, স্বাস্থ্যভবনের আধিকারিকদের, সেই কাজটিই নিজের ক্ষমতায় করতেন আরজি কর কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপ। এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সন্দীপ দীর্ঘ দিন ধরে পুরোপুরি নিজের পছন্দের হাউস স্টাফদেরই নিয়োগ করতেন আরজি করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Kolkata Doctor Rape And Murder Case: পলিগ্রাফ টেস্টের ১০ প্রশ্নে আকস্মিক 'ইউ-টার্ন' সঞ্জয়ের! সব অনুমান উল্টে দিয়ে অবিশ্বাস্য ভয়ংকর কী বলল সে?


এবং শুধু যে তা-ই করতেন তা নয়, এর পাশাপাশি তিনি তাঁর নিজস্ব বর্গের বন্ধুবান্ধবদের হাসপাতাল-সংক্রান্ত নানা কনট্র্যাক্টও পাইয়ে দিতেন। সেটা যেভাবে করতেন তাতে হাসপাতালের রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন নিয়মিত বিঘ্নিত হত। 


জানা গিয়েছে, কোনও প্যানেল ধরে নিয়োগ হত না সন্দীপের আমলে। পুরোটাই তাঁর ইচ্ছেমতো হত। তিনি নিজের মতো করে পছন্দের স্টাফদের ইন্টারভিউতে ডাকতেন। আবার যখন তিনি হাউস স্টাফদের তালিকা বানাতেন, সেটাও করতেন সম্পূর্ণ ভাবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী, কে কত যোগ্য, সে বিচার ধর্তব্যে আনতেন না। 


আরও পড়ুন: Jawhar Sircar: সাংসদপদ ছাড়বেন, ছেড়ে দেবেন রাজনীতিও! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু'পাতার দীর্ঘ চিঠি দুঃখী জহর সরকারের...


কাছের মানুষকে পাইয়ে দেবার নীতিতেই আজীবন কাজ করে গিয়েছেন সন্দীপ। নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি, কোনও সততার ধার ধারেননি। যা ইচ্ছে তাই করে গিয়েছেন। আর এই করতে-করতেই সিবিআইয়ের অভিযোগ, সন্দীপের এই স্বেচ্ছাচারিতার হাত ধরেই আরজি করকে কেন্দ্র করে একটা ক্রিমিনাল নেক্সাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যে আঁতাঁত আসলে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের স্বার্থের পরিপন্থী হয়ে গিয়েছিল। এবং তা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষতিই ঘটাচ্ছিল। ক্ষতি হচ্ছিল আরজি করেরও। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)