Saigal Hossain: আজই আদালতে পেশ সায়গলকে, ৭ দিনের বেশি কেষ্টর দেহরক্ষীকে দিল্লিতে রাখতে পারবে না ইডি
Cattle Smuggling Case: গোরুপাচর মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন। তাকে দিল্লি আনতে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করে ইডি। সেই আবেদন সাড়া দিয়ে সায়গলকে দিল্লি আনার অনুমতি দেয় রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত।
জ্যোর্তিময় কর্মকার: অবেশেষে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সায়গল হুসেনকে। আজই তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে এক সপ্তাহের বেশি কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে রাজধানীতে রাখা যাবে না। তাই সায়গল হুসেনকে দিল্লিতে এনে আজই কোর্টে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেবে ইডি। এরপর ফেরাতে হবে আসানসোল জেলে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সায়গলের আইনজীবী হাজির থাকতে পারবেন। তাঁকে জেরা করা হতে পারে সকাল ১১টা থেকে ১৩টা এবং দুপুর ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে। কিন্তু আইনজীবীকে নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে হবে যাতে জেরার কথোপকথন শুনতে না পান। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ প্রথমে সায়গলকে দিল্লিতে এনে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট। দ্বিতীয়ত, সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সায়গলের আইনজীবী।
আরও পড়ুন, Child Trafficing: পাচারের জন্য আনা হয় ২ বাংলাদেশি শিশুকে, মুম্বই থেকে চক্রের পান্ডাকে ধরল পুলিস
তবে রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে দিল্লি হাই কোর্ট। সর্বশেষ শুক্রবার, দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টেও আর্জি জানায় সায়গলের আইনজীবী। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। গোরুপাচর মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন। তাকে দিল্লি আনতে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করে ইডি। সেই আবেদন সাড়া দিয়ে সায়গলকে দিল্লি আনার অনুমতি দেয় রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত। সেই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করে সায়গলের আইনজীবী। সেখানে ধাক্কা খায় সায়গল।
এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তদন্তে নেমে সায়গল ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্পত্তির পাহাড়ের খোঁজ পায় সিবিআই ও ইডি। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ছাড়াও খাস কলকাতায় সায়গলের সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। রাজ্য পুলিসের কনস্টেবল পদে চাকরি করে কীভাবে কোটি-কোটি টাকার এই সম্পত্তির মালিক হলেন সায়গল? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার থেকে সায়গল হোসেনকে ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লি। তার আগে পুরো আসানসোল স্টেশন নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সায়গল হোসেনকে নিয়ে আসা হয় আসানসোল স্টেশনে। তারপর সেখান থেকে শিয়ালদহ অমৃতসর-জলন্ধর এক্সপ্রেসে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় সায়গল হোসেনকে।
গোরুপাচার কাণ্ডের প্রচুর তথ্য সায়গল হোসেনের কাছে রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির দেহরক্ষী সায়গল হোসেন যেমন তাঁর দেহরক্ষী ছিল তেমনই তাঁর অনেককিছু কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিল। ফলে তার কাছে অনুব্রত ও গোরুপাচার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রচুর তথ্য রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, Durgapur Crematorium: দূষিত ধোঁয়ায় টেকা দায়, আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গাপুরের এই শ্মশান