Child Trafficing: পাচারের জন্য আনা হয় ২ বাংলাদেশি শিশুকে, মুম্বই থেকে চক্রের পান্ডাকে ধরল পুলিস
পুলিস আসার খবর পেয়েই শিশু দুটিকে রেখে পালায় লাল্টু সর্দার নামে ওই পাচারকারী। তার পর থেকে আর পাত্তা পাওয়া যাচ্ছিল না লাল্টুর। শিশু দুটিকে রেখে দেওয়া হয় বাগুইআটির একটি হোম।
বিমল বসু ও নির্মল পাত্র: শিশু পাচার চক্রের এক পাণ্ডাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে আনল উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার পুলিস। অন্যদিকে, শিশু পাচারের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে তুলল হুগলির তারকেশ্বর থানা। মাস খানেক আগে স্বরূপনর থানার কাছে খবর ছিল সীমান্তবর্তী কৈজুড়ি পঞ্চায়েতের ভঙাদুড়িয়া গ্রামের এক জনের বাড়িতে পাঁচ ও সাত বছরের দুটি শিশুকে বাংলাদেশ থেকে এনে রাখা হয়েছে। সুযোগ বুঝে তাদের বিক্রি করে দেওয়া হবে।
সেই খবরের ভিত্তিতে ওই বাড়িটিতে হানা দেয় পুলিস। উদ্ধার করা হয় শিশু দুটিকে। এদিকে পুলিস আসার খবর পেয়েই শিশু দুটিকে রেখে পালায় লাল্টু সর্দার নামে ওই পাচারকারী। তার পর থেকে আর পাত্তা পাওয়া যাচ্ছিল না লাল্টুর। শিশু দুটিকে রেখে দেওয়া হয় বাগুইআটির একটি হোম। পরে একটি সূত্রে খবর পেয়ে মুমব্ই থেকে গ্রেফতার করে আনা হল লাল্টুকে। আজ তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়ে বিচারক তাদের ৯ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন-Cyclone Sitrang: সিত্রাংয়ের দাপট কোথায় বেশি হতে পারে, কেমন হবে ঝড়ের বেগ?
অন্যদিকে, গতকাল তারকেশ্বরের মির্জাপুর এলাকায় শিশু পাচারকারী সন্দেহে এক মহিলা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে তারকেশ্বর থানার পুলিস। আজ তাদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতরা হল ফিরোজা বিবি,শেখ আকাশ,শেখ রাহুল,শেখ ইসমাইল,শেখ সুরজ, শেখ ফুলচাঁদ। এদের সবার বাড়ি হুগলির পান্ডুয়ার চাপাহাটি মাজপাড়া এলাকায়।
উল্লেখ্য গতকাল দুপুরে শিশু পাচারকারি সন্দেহে ৫ জনকে আটকে রাখে তারকেশ্বরের মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দারা। আটকে রাখাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে তারকেশ্বরের মির্জাপুর। অভিযুক্ত দের গ্রামবাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিস। তাদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট পাটকেল। পরিস্থিতি সামলাতে হাজির হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস। এলাকা ফাঁকা করে অভিযুক্ত দের উদ্ধার করে গ্রেফতার তারকেশ্বর থানার পুলিস। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, স্থানীয় দুই শিশুকে লজেন্সের লোভ দেখিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল অভিযুক্তরা।