নিজস্ব প্রতিবেদন: সজল কাঞ্জিলালের মৃত্যুর দায় তাঁর উপরেই চাপিয়ে দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ওই রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। সুবিচারের আশায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, গাফিলতি চাপা দিতে যাত্রীর উপরে দোষ চাপাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সজলবাবুর আত্মীয় সুব্রতকুমার দাস বলেন,''মেট্রোর তরফে আমাদের এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। সংবাদমাধ্যমের কাছে আমরা জানতে পেরেছি। তীব্র নিন্দা করছি।'' এক তরফা ভাবে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বলেন,''আমাদের কোনও বক্তব্য শোনা হয়নি। দরজায় একটা লোক ঝুলছে এটা কীভাবে সম্ভব হল? মেট্রোর আধিকারিকরা যখন আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন, তখন আমাদের প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি।'' নিজেদের গাফিলতি ঢাকার জন্যই মেট্রো তদন্ত ধামাচাপা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ সুব্রতবাবুর।



একই সুর মৃত সজলবাবুর মামাতো ভাই রাজকুমার মুখোপাধ্যায়ের গলাতেও। তাঁর অভিযোগ, নিজেদের দোষ ধামাচাপা দিতেই এমন রিপোর্ট পেশ করেছে মেট্রো। পরিবারের লোকজনরা জানিয়েছেন, সুবিচারের জন্য যতদূর যেতে হয় যাবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানাবেন। দরকারে আদালতের শরণাপন্নও হবেন। 


গত ১৩ জুলাই সন্ধেয় পার্ক স্ট্রিটে মেট্রোর দরজায় হাত আটকে যায় সজল কাঞ্জিলালের। কিন্তু খোলেনি স্বয়ংক্রিয় দরজা। ওই অবস্থাতেই এগোতে থাকে ট্রেন। টানেলে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় সজলবাবুর। ২ মাস ধরে তদন্তের পর কমিশনার অফ মেট্রো রেলওয়ে সেফটি যে রিপোর্টে দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, যাত্রীর অসতর্কতার জন্যই ১৩ জুলাই দুর্ঘটনা যেহেতু যাত্রীকেই দোষী বলা হচ্ছে, তাই সজলবাবুর পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণও পাবেন না। কিন্তু গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় বারবার যে মেট্রোর চালক, মোটরম্যানের বিরুদ্ধে বারবার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, এই রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই।


আরও পড়ুন- রাজ্যে ট্রাফিক আইন ভাঙলে নতুন নিয়মে চড়া জরিমানা নয়, স্পষ্ট করলেন মমতা