অর্নবাংশু নিয়োগী: গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডির অফিসাররা। ৩ ইডি অফিসার আক্রান্ত হন। সেই ঘটনার পর পুলিসের ধরপাকড়ে এখনওপর্যন্ত মাত্র ৪ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিস। কিন্তু লক্ষ্যনীয় ঘটনা হল হামলার ১০ দিন পরে শেখ শাহজাহানের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করলেন তার আইনজীবী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নিজেকে খোঁজার তাগিদ! অনলাইনে কেমিস্ট্রি পড়াচ্ছেন দেবশ্রী রায়!


তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের হয়ে আদালতে আজ সওয়াল করেন আইনজীবী বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায় । উল্টে তাঁকেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, কেন এখনওপর্যন্ত আত্মসমর্পণ করছেন না শেখ শাহাজাহান? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের সঙ্গে কথা বলার জন্য শেখ শাহজাহানের আইনজীবীকে ধমক দেন দেন বিচারপতি।


অধরা শেখ শাহজাহানের ওকালতনামা ছাড়াই আজ আদালতে সওয়াল করতে ওঠেন তার আইনজীবী। তাঁর দাবি, সকালে তিনি ওকালতনামা পেয়েছেন কিন্তু তা এখনও সাক্ষর করে উঠতে পারেননি। তবে বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়ের একটি আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। সওয়ালের আগেই অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর সঙ্গে পরামর্শ করছিলেন বিশ্বরূপবাবু। বিচারপতি বলেন, আপনি রাজ্যের আইনজীবী নন, কেন আপনি রাজ্যের আইনজীবীকে বিরক্ত করছিলেন। আপনি কি রাজ্যকে পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন? ভরা এজলাসে আপনি কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। সবচেয়ে বড় কথা আপনার মক্কেল কেন আত্মসমর্পণ করছে না?


বিচারপতির ওই কথা শুনে শেখ শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, আমরা এখনও ইসিআইআর দেখে উঠতে পারিনি। অর্থাত্ ইডির এফআইআরে আমার মক্কেলের নাম আছে কিনা, কী অভিযোগ সেখানে করা হয়েছে তা দেখে উঠতে পারিনি। আমাকে বলার সুয়োগ দিতে হবে। সেই কারণ এই মামলায় আমাকে পার্টি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। ওই কথা শুনে আদালতের তরফে বলা হয় আগামিকাল এনিয়ে আবেদন করতে হবে। তার পর বিষয়টি বিচার করে দেখা হবে।


এদিন বিচারপতি এজিকে জিজ্ঞাসা করেন, শেখ শাহজাহানকে কি গ্রেফতার করতে পেরেছেন? উত্তরে এজি বলেন, এখনওপর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারপতি পাল্টা বলেন, এখনওপর্যন্ত ১০০০ জনের মধ্যে ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে তো?


এদিকে, সন্দেশখালি মামলায় পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তোলে ইডি। পাশাপাশি তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। এনিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতি আদালতের মন্তব্য, আপনারা হাজার জনের মধ্যে মাত্র ৪ জনকে ধরেছেন, মূল অভিযুক্ত অধরা, আপনারা জানেন না শাহাজাহান সেখানে ছিল কিনা, ইডির অভিযোগ বাড়িতে বসেই শাহজাহান এললাকার মানুষকে উস্কেছিল। তাহলে এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের তদন্তের উপরে কীভাবে আস্থা রাখা হবে? কতটা তদন্ত হয়েছে, কেস ডাইরি দেখব তারপর আগামিকাল আদালত সিদ্ধান্ত নেবে তদন্তভার পুলিসের হাতে থাকবে নাকি সিবিআকে দেওয়া হবে।  


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)