নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার খাস কলকাতায় স্কলারশিপ জালিয়াতি! কলকাতার নামিদামি স্কুলে 'ভুয়ো' ছাত্রীদের নামে সরকারি স্কলারশিপ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। সেই বিস্ফোরক তথ্য হাতে এসেছে Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের। স্কুলগুলির বক্তব্য, এব্যাপারে তারা কিছুই জানে না। তাদের কাছ থেকে তথ্য যাচাইও করা হয়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কলকাতার লা মার্টিনিয়ার ফর গার্লসের 'ছাত্রী' সালেহা বিবি। স্কলারশিপ পেয়েছেন ১৪,৬০০ টাকা। কী আশ্চর্য! ওই নামে কোনও ছাত্রীই পড়ে না স্কুলে। অথচ লা মার্টিনিয়ারের 'ছাত্রী' সালেহার অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে সরকারি টাকা। নথি ঘেঁটেও এই নামে পড়ুয়ার হদিশ মেলেনি বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের।  স্কুলের সেক্রেটারি সুপ্রিয় ধর জানান,'তথ্যপঞ্জী দেখে বলেছি, এই নামের কোনও ছাত্রী নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নিয়ম। এমন নামে তো কোনও ছাত্রীই নেই। আর স্কুলের নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর তো যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। তা তো গোপন নয়।'
 


আর এক স্কুল ব্রিজ ইন্টারন্যাশনালের খালেদা খাতুন পেয়েছে ১০ হাজার ৮০০ টাকা স্কলারশিপ। অথচ খালেদা নামে কেউ নেই স্কুলে। স্কুলের সঙ্গে তথ্য যাচাই না করে কীভাবে স্কলারশিপ দেওয়া হল? বিস্মিত কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষা রঞ্জনা রায় বলেন,'খালেদা খাতুন নামে আমাদের কোনও ছাত্রী নেই। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল স্কুলের সঙ্গে যাচাই করে নেওয়া। স্কুলকে জিজ্ঞেস করা।'        


তাঁতিয়া হাইস্কুল ছাত্রদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ ১২ হাজার ৬০০ টাকা করে স্কলারশিপ পেয়েছেন ওই স্কুলের 'ছাত্রী' খুশিলা সিং এবং জিতনি রায়। করুণা সিং ও শকুন্তলা সিংয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে ১৪ হাজার ৬০০ টাকা। টিচার ইনচার্জ কুণাল তিওয়ারি বলেন, 'আমাদের বয়েজ স্কুল। রেজিস্টারে এদের কারও নাম নেই।'


স্কুলের ছাত্রী পরিচয় দিয়ে তোলা হচ্ছে হাজার হাজার টাকার স্কলারশিপ। অথচ অন্ধকারে স্কুল। প্রশ্ন উঠছে, স্কুলের সঙ্গে কেন তথ্য যাচাই করা হল না? তাহলে কি প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরাও যুক্ত এই জালিয়াতির সঙ্গে? 


আরও পড়ুন- বিধানসভা ভোটের সময় অভিষেক-প্রশান্তের ফোনে আড়ি, ফাঁস বিস্ফোরক 'Pegasus' তথ্য


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)